কলকাতা: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে তিনি মন্ত্রীদের জরুরী নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যা বিধ্বস্ত জেলার মন্ত্রীদের নিজের জেলায় থাকতে হবে। ত্রাণ নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ শুনতে না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে, বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া তিনি জানিয়েছন, প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী যেন প্রয়োজনীয় ত্রাণ পান এবং তাদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়। এখনো পর্যন্ত খবর বানভাসি এলাকাগুলিতে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য এদিন তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রীদের মৃতদের পরিবার যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায় তাও দেখতে বলা হয়েছে। গত কয়েক দিনে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে ডিভিসি আরও জল ছাড়তে পারে। যদি জল ছাড়া হয় তবে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। সুতরাং সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে বলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি।
আরও পড়ুন- রূপনারায়ণ-দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত খানাকুল, উদ্ধারে নামল সেনাবাহিনীর কপ্টার
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ বাড়ছে নদীর জলস্তর৷ দেখা দিয়েছে প্লাবনের আশঙ্কা৷ এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ও প্রাণহানি রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার৷ তাই আগে থেকেই সব রকমের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে চাইছে তাঁরা৷ বিপদ সীমার মধ্যে থাকা জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই ৯০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলবন্দি এলাকার মানুষদের রাখার জন্য খোলা হয়েছে ৩৫০টি ত্রাণ শিবির। সম্প্রতি জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷ ওই বৈঠকে জেলা প্রশাসনকে বন্যা মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দেন তিনি।