নন্দীগ্রাম: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঐতিহাসিক জনসভা করে নন্দীগ্রাম থেকেই নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর সেই সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার জনসভা করতে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে গিয়ে তিনি বার্তা দিলেন, গোটা দেশ এবং বিশ্বকে সম্প্রীতি শিখিয়েছে নন্দীগ্রাম। সেই জায়গাই তাঁর দুটো চোখ। একইসঙ্গে বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান তোলেন, “ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব না কো নন্দীগ্রাম”!
এদিন জনসভার শুরুতেই সম্প্রীতির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এখানে এসে কেউ কেউ বলছে ৭০-৩০ এর কথা, কিন্তু মনে রাখতে হবে পুরো ১০০ শতাংশই তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, মানুষে মানুষে ভাগাভাগি হয় না। এই প্রেক্ষিতে মমতা স্পষ্ট করেছেন যে তিনি কেন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলছেন, ভবানীপুর তাঁর নিজের কেন্দ্র ছিল, সবটাই হাতের মুঠোয় ছিল। কিন্তু তাও তিনি এখানে এসে প্রার্থী হয়েছেন তার কারণ, যেদিন তিনি নন্দীগ্রামে জনসভা করতে এসে জিজ্ঞেস করেন যে, এখানে প্রার্থী হলে কেমন হয়, সেদিন সকলে যে উন্মাদনা এবং উদ্দীপনা দেখিয়েছিল, সেই সাহসের উপর ভর করেই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। মমতা আরো বলেন, তিনি গ্রামের মেয়ে এবং গ্রামের জন্য তাঁর ভালোবাসা রয়েছে। তিনি ভেবেছিলেন সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম কোন একটা জায়গা থেকে দাঁড়াবেন। কারণ দুটোই আন্দোলনের পীঠস্থান। অবশেষে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: তবে কি রাজনৈতিক সন্ন্যাস? মমতার কাছে ছুটি চাইলেন দেবাংশু
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফার নির্বাচন রয়েছে নন্দীগ্রামে। সেই প্রেক্ষিতে আজ নন্দীগ্রাম সফর থেকেই বুধবার হলদিয়া মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি আজও জনসভা থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এখানে দুটি রালি করতে চলেছেন তিনি। তবে সেই দুটি রালি কবে হবে সে ব্যাপারে পরবর্তী সময় জানিয়ে দেবেন।