ঝাড়গ্রামে এত উন্নয়ন, তাই তো এখন এটা জঙ্গলসুন্দরী! দাবি মমতার

ঝাড়গ্রামে এত উন্নয়ন, তাই তো এখন এটা জঙ্গলসুন্দরী! দাবি মমতার

গোপীবল্লভপুর: নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করার দিন আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এখন হুইল চেয়ারে বসেই ফের একবার জেলায় জেলায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন তিনি। এদিন গোপীবল্লভপুরের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি ঝাড়গ্রামের উন্নয়ন সম্পর্কে মন্তব্য করলেন। জানালেন, এত উন্নয়ন হয়েছে ঝাড়গ্রামে যে এখন মানুষ তাকে জঙ্গল সুন্দরী বলে। পাশাপাশি তিনি আরো জানান, বাংলা সম্পর্কে বিজেপি কিছুই জানে না, শুধু ভোটের আগে এসে এখানে মিথ্যাচার করছে। লোকসভা নির্বাচনে জেতার পরেও এখানে কিছু করেনি।

এদিন মমতা বলেন, ঝাড়গ্রামকে তিনি খুব ভালোবাসেন। ঝাড়গ্রামের জন্য তিনি যতটা পেরেছেন ততটা করেছেন। তিনি আরো জানান, যখন এখানে কেউ আসতে চাইতো না তখন তিনি আসতেন। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর এখানে একটাও খুন হয়নি। এই প্রেক্ষিতেই মমতা জনসভায় আগত সকলকে বার্তা দেন, এখানে জন্য সবাই খগেন মাহাতোকে ভোট দেয় কারণ তাঁকে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া। এর পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে আক্রমণ করে মমতা মন্তব্য করেন, বিজেপি বাংলার ব্যাপারে কিছুই জানো না এবং বাংলাকে নিয়ে তারা একেবারেই চিন্তিত নয়। লোকসভা নির্বাচনে এখানে জিতেছে কিন্তু তারপরে দু বছর হয়ে গেলেও কোনো কাজ করেনি। মমতার দাবি, বিজেপি একেবারে শূন্য তাই আসন্ন নির্বাচনে তাদের আবার শূন্য করে দিতে হবে। একইসঙ্গে বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কিনছে বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, বিজেপি কাউকে ৫০০ টাকা দিচ্ছে মিছিলে যাবার জন্য, আবার কাউকে ৫০০০ টাকা দিচ্ছে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা বিজেপির টাকা নয়, সাধারণ মানুষের টাকা। 

আরও পড়ুন- “কে বলল আমি তৃণমূল?” মোদীর সভায় থাকছেন, জানিয়ে দিলেন শিশির অধিকারী

তবে একই সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকবে কিনা, এর সিদ্ধান্ত নেবেন সাধারণ মানুষ বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করেন, প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতো ভোট দিতে পারেন। তাই কে কোন দলকে ভোট দেবেন সেটা মা, ভাই-বোনরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বিজেপির ইস্যুতে তিনি ফের একবার সকলকে মনে করিয়ে দেন, বিজেপি ভারতবর্ষে দুঃশাসনের রাজ চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *