মেদিনীপুর: ছেলে দল ছেড়েছেন অনেক আগেই, এবার দল ছাড়ার জল্পনায় শিলমোহর বসালেন বাবাও। আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত থেকে গেরুয়া হওয়ার কথা একপ্রকার স্বীকারই করে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শিশির অধিকারী। খাতায় কলমে এখনও তিনি কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু তা বদলাতে যে আর বেশি সময় লাগবে না এদিন সে কথা স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী।
নিজে দলবদল করার পর নিজের বাড়িতেও পদ্ম ফোটানোর বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর একে একে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের লোকেরা দলবদল করতে থাকেন। তবে ভোটের মুখে শিশির অধিকারীর গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিঃসন্দেহে শাসকদলের চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন শিশির অধিকারীকে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। খাতায় কলমে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকার প্রসঙ্গ উঠলে খানিক বিরক্তই শোনায় বর্ষীয়ান নেতার গলা। তিনি বলেন, “কে বলল আমি তৃণমূলে আছি?” অসন্তোষের কারণও এরপর স্পষ্ট করেন তিনি। বলেন, “শুভেন্দু দল ছাড়ার পর থেকে আমার বাপ ঠাকুরদার নাম তুলে ওরা গালাগালি দিচ্ছে। বলছে আমরা মীরজাফর। কার কী করেছি জানি না। মেদিনীপুরের লোকই জানে আমরা ভোগী না ত্যাগী।”
এখনও বিজেপিতে খাতায় কলমে যোগ না দিলেও এর আগেই শিশির অধিকারী জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ছেলের হয়ে প্রচারে নামবেন। দিন দুয়েক আগে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও মেদিনীপুরের ‘শান্তিকুঞ্জে’ গিয়ে দেখা করেন শিশির বাবুর সঙ্গে। গেরুয়া যোগের জল্পনা তীব্র হয় আরো। আগামী ২৪ মার্চ নরেন্দ্র মোদী যে জনসভা করবেন তাতে সুযোগ পেলেই হাজির থাকবেন বলেও জানিয়েছেন দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। উল্লেখ্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন গেরুয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েটের সম্মুখ সমরে এবার তাই হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম।