কলকাতা: গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার বাড়ির পরিচারিকা৷ ডায়মণ্ড হারবার কপাটহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলা পরিচারিকাকে৷ ধৃতের নাম মিঠু হালদার৷ আজ সকালেই মিঠু ও সুভাষ হালদারকে আটক করে পুলিশ৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ডায়মণ্ড হারবার থানার পুলিশ৷ কাঁকুলিয়ার বাড়িতে তারা পরিচারিকার কাজ করত বলে জানা গিয়েছে৷ গতকালই তাদের খোঁজ মেলে৷ আজ দীর্ঘ জেরার পর মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন- লাগাতার বৃষ্টিতে সেতুতে ফাটল, দুর্ভোগে বাসিন্দারা
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা অরিন্দম আচার্য বলেন, এই ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের হোমিয়াইড ও গোয়েন্দা শাখা৷ অত্যন্ত উন্নত পন্থা অবলম্বন করে এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে৷ ব্যবহার করা হচ্ছে স্নিফার ডগ৷, থ্রি ডি ক্স্যানার মেশিন৷ বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে তদন্ত চলছে৷ তিনি বলেন, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে হোক বা অন্য কোনও কারণেই হোক তাঁদের কাজে লাগানো হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, এই পরিচারিকারা নিশ্চিত ভাবেই ভয়ঙ্কর প্রকৃতির৷ খুন করার মানসিকতাও থাকতে পারে৷ তাদেরকেই কাজে লাগিয়েছে সুপারি কিলাররা৷ অর্থের বিনিময়েই তাদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে বলে তাঁর অনুমান৷ এর আগেও অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছে মিঠু হালদারের৷
প্রসঙ্গত, কাঁকুলিয়া রোডের একটি তিনতলা বাড়িতে সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের খুনের তদন্ত করছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে যান তদন্তকারী অফিসাররা। কিছু ক্ষণ বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরির পরে রাস্তা ধরে সোজা বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে ছুটতে শুরু করে পুলিশ কুকুর। সেখানে ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কিছু ক্ষণ ঘুরে আবার ফিরে আসে গড়িয়াহাটে। তারপর থেকেই তদন্তকারীরা অনুমানলকরছিলেন এই খুনের সঙ্গে স্টেশনের যোগ রয়েছে৷ হয়তো খুন করে থেকে ট্রেনে চেপে পালিয়ে গিয়েছে খুনিরা।