রাজনৈতিক কুমড়ো কিনতে কোটি টাকা খরচ করছে বিজেপি! মদন উবাচ

রাজনৈতিক কুমড়ো কিনতে কোটি টাকা খরচ করছে বিজেপি! মদন উবাচ

fef07695eca09a1f335493bae7199e8f

কলকাতা: দলবদল পরিস্থিতি এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র। বললেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে খালি রাজনৈতিক কমলো কিনছে বিজেপি। তাদের জন্যই এখন সর্বত্র ঘ্যাঁট তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যক্ষভাবে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে কটাক্ষ করে কুমড়োর ঘ্যাঁট খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাসঘাতক দীনেশ নোবেল ছাড়া সব পেয়েছেন!’ মমতার পাশে মদন

ভাটপাড়ায় নিজের ‘ওহ‌ লাভলি’ গানের প্রচার করতে গিয়ে প্রকাশ্যে কুমড়ো কাটেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। তারপর তা রেঁধে সকলকে খাওয়ান। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বিজেপি রাজ্যের সর্বত্র ঘ্যাঁট তৈরি করেছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজনৈতিক কুমড়ো কিনছে তারা। এদিকে সাধারণ মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা একটাও পূরণ করতে পারেনি। ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাওয়া হয়ে গিয়েছে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যাব দেওয়ার নামে যে ১০০০০ টাকা দেবেন বলেছিলেন তা ইতিমধ্যেই পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মদন মিত্র। প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগের পর তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে আজ, কৌতূহল তুঙ্গে

মদন বলেন, দীনেশ ত্রিবেদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সবকিছু পেয়েছিলেন। শুধুমাত্র নোবেল পাওয়া বাকি ছিল। লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরেও তাঁকে রাজ্যসভার সংসদ করে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে পাঠিয়েছিলেন। এরপরেও তিনি এই ভাবে দল ত্যাগ করলেন কারণ তিনি বিশ্বাসঘাতক। মদনের আরও বক্তব্য, দীনেশ ত্রিবেদী দল ছেড়ে দিয়েছেন তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু এসে যাবে না। এই ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘আমি দুঃখিত৷ দীনেশবাবু আগে দলের কাউকে পদত্যাগ করার কথা জানাননি৷ গত রবিবারও ওঁর সঙ্গে দিল্লিতে গিয়েছিলাম৷ তখনও উনি ওঁনার অসন্তোষের কথা বলেননি৷ কোনও ভাবেই দলকে কিছু বুঝতে দেননি৷ উনি ইস্তফা দেবেন কেউ বুঝতে পারেনি৷ তবে দু’একজনের কাছে ক্ষোভ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল৷’’ সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় তাঁকে কার্যত একহাত নিয়েই মন্তব্য করে বলেন, ‘‘এদিন রাজ্য সভায় নজির বিহীন ভাবে সময় শেষ হওয়ার পরেও ওঁনাকে বলতে দেওয়া হয়েছে৷ এটা বিস্ময়কর৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *