করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে আজ, কৌতূহল তুঙ্গে

করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে আজ, কৌতূহল তুঙ্গে

নয়াদিল্লি: ১৬ জানুয়ারি সারা দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল করোনাভাইরাস টিকাকরণ। জানানো হয়েছিল প্রথম টিকা নেওয়ার ২৮ দিনের মাথায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। সেই প্রেক্ষিতে আজ দেশজুড়ে করোনাভাইরাস টিকাকরণ হবে ফের একবার। তবে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ব্যাপারে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে এবং বিতর্ক জারি রয়েছে। যদি আজ কেউ দ্বিতীয় ডোজ না নিতে পারেন তাহলে কি হবে, ভ্যাকসিন ডোজ নিতে দেরি হলে শারীরিক সমস্যা ধরা পড়বে কিনা, সেই সব বিষয়ে ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে আম আদমি। অন্যদিকে, কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন নিয়ে তো প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল প্রশান্ত কিশোরের বাড়ি! রাজনৈতিক হিংসার জের?

করোনাভাইরাস টিকাকরণ শুরু হবার সময় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিল যে, ২৮ দিনের মাথায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে টিকা গ্রহণকারীকে। সেই প্রেক্ষিতে আজ দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণ হবে গোটা দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই যারা প্রথমবার টিকা নিয়েছিলেন তাদের মেসেজ মারফত টিকাকরণ বিষয় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অনেককে সরাসরি ফোন করা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই টিকাকরণ কর্মসূচি ব্যাপক সাফল্যের সঙ্গে দেশজুড়ে চলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে টিকাকরণ হয়ে যাবার পর দ্বিতীয় পর্যায় টিকাকরণ শুরু হবে ভারতে। সেই দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও করোনাভাইরাস টিকা নেবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন এলেও কাটেনি বিপত্তি! করোনা চিকিৎসার নয়া গাইডলাইন WHO-র

এদিকে, দেশে দেশে একাধিক করোনা ভ্যাকসিনের আবিষ্কার মানুষের মন থেকে অতিমারীর আতঙ্ককে  কমিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। সংক্রমণ এখনো নির্মূল না হলেও মানুষ খানিক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু বর্তমান অতিমারী পরিস্থিতিতে কি চিন্তার কিছুই নেই? তা কিন্তু নয়। আর তাই স্বস্তির আবহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রকাশ করল একগুচ্ছ নতুন গাইডলাইন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফ থেকে হু-এর মুখপাত্র মারগারেট হ্যারিস জেনেভায় সংস্থার নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে সমস্ত করোনা রোগী বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকছেন তাদের পালস অক্সিমেট্রি (pulse oxymetry) বা অক্সিজেন মাপক যন্ত্র সঙ্গে রাখা উচিত। গাইডলাইনে চিকিৎসকদের জন্যেও রয়েছে পরামর্শ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *