কলকাতা: একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের অন্যতম তারকা প্রার্থী অভিনেত্রী লাভলি মৈত্র৷ সোনারপুর দক্ষিণের প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে৷ কিন্তু তিনি তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার পরই বদলি করা হল তাঁর আইপিএস স্বামীকে৷ ভোট ঘোষণার পর নিয়ম মতো প্রার্থীর কোনও আত্মীয় ভোটের দায়িত্বে থাকতে পারেন না। সে কারণেই হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সৌম্য রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ স্ত্রী প্রার্থী হওয়ায় ভোটের কোনও দায়িত্বই দেওয়া হবে না তাঁকে৷ এ প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন লাভলি৷
আরও পড়ুন- ‘ধর্ম নিয়ে খেলবেন? খেলা হবে, নন্দীগ্রামেও…’ হুঁশিয়ারি মমতার
এদিন তিনি বলেন, ‘‘আমার এমন কোনও নিয়ম জানা নেই৷ তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া আমাদের কর্তব্য৷ সেটা মেনেও নেব৷ তবে কমিশন যেন নিরপেক্ষভাবে সব সিদ্ধান্ত নেয়৷’’ তাঁর ব্যক্তিগত মতামত, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির চক্রান্ত চলছে৷ কিন্তু চক্রান্ত করে বিশেষ লাভ হবে না৷ আমার স্বামী একটি জেলায় দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন৷ আমি সম্পূর্ণ পৃথক একটি জেলা থেকে প্রার্থী হয়েছি৷ তা সত্ত্বেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল৷’’ তবে এমন কিছু যে ঘটতে পারে সে জন্য তিনি কিছুটা প্রস্তুত ছিলেন বলেও জানান লাভলি৷ এর জন্য কোনও কিছু বিগড়ে যায়নি৷ বরং মনের জোড়টা আরও বেড়ে গেল৷ এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী৷
আরও পড়ুন- সাসপেনশনের হুঁশিয়ারি দিয়ে শোকজ! ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী মহল!
এদিকে মঙ্গলবার সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে পৌঁছে বিপদতারিণী মন্দিরে পুজো দেন ‘জলনুপূর’ খ্যাত অভিনেত্রী৷ পুজো সেরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সবার ঘরের মেয়ে। এতদিন আমাকে আপনারা টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছেন, এবার থেকে সামনাসামনি দেখতে পাবেন।’’ পাশাপাশি লাভলি এও জানান, একুশের যুদ্ধে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক। অভিনয় জীবন থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করে তিনি আরও বেশি মানুষের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা পাবেন৷ তাঁর কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসের ২৯৪টি আসনের প্রার্থীই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন ঠিক কথাই, কিন্তু মানুষ ভোট দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।