কলকাতা: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়ে চিঠি লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠালেন বিজেপি সাংসদ। অভিযোগ, ২ মে’র পর থেকে রাজ্যে লাগাতার হিংসার ঘটনা ঘটছে৷ ‘‘জনপ্রতিনিধি হিসাবে দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না৷ দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না৷ আমি নিজে নিরাপত্তা নিয়ে কী করব?’’ এমনই মন্তব্য করলেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- নারদ কাণ্ডে নয়া মোড়, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে CBI
জানা গিয়েছে, রবিবারই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের আসতে বারণ করে দিয়েছেন লকেট৷ বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের অত্যাচারের অভিযোগেই তাঁর এই পদক্ষেপ৷ কেন তিনি নিরাপত্তা ছাড়ছেন, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েও জানিয়েছেন লকেট৷ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন বিজেপি সাংসদ৷ লকেট বলেন, ‘‘২ তারিখ ফল ঘোষণার পর বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে, মহিলাদের উপর অত্যাচার চলছে, বহু কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ একজন মহিলা হিসাবে আমার মনে হয়েছে, এত নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে আমি থাকব, আর গ্রামের মহিলারা নিরাপত্তা পাবে না? মানবিক দিক থেকে এটা আমি মেনে নিতে পারি না৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার এতদিন নিরাপত্তারক্ষী ছিল না৷ নির্বাচনের আগে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল৷ ফল ঘোষণার পর চারিদিকে যে ভাবে অত্যাচার হয়েছে, তা দেখে মনে হয়েছে আমি যখন কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না, তখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে কী করব? আমি মানুষের কাজ করার জন্য সাংসদ হয়েছিলাম৷’’ তিনদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানান লকেট৷
আরও পড়ুন- ‘কাছা খুলে যাঁদের BJP স্বাগত জানিয়েছিল, তাঁরা তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছে’, ফের বিস্ফোরক তথাগত
এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ৷ কোনও অত্যাচার হয়নি৷ লকেট নিজেও পরাজিত হয়েছে৷ লোকসভায় জিতলে মানুষের রায় আর বিধানসভায় হারলে সন্ত্রাস৷ এগুলো হাস্যকর যুক্তি৷ আসলে সিআরপিএফ, কেন্দ্রীয় বাহিনী কম পড়ছে৷ কাশ্মীর সীমান্তে যত জওয়ান থাকে তত জওয়ান এ রাজ্যের বিজেপি বিধায়কের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল৷ সে কারণেই পুরনো লোকোদের থেকে তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷