অনেক বিধায়কই কাজের সুযোগ পান না! মনোরঞ্জন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক লকেট

অনেক বিধায়কই কাজের সুযোগ পান না! মনোরঞ্জন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক লকেট

0a28b8018d0b586654816fb6f26d4616

কলকাতা: গত দু-তিন দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী কৌতুহল তুঙ্গে। কারণ তাঁর দুটি ফেসবুক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে তিনি হয়ত রাজনীতিতে এসে ভুল করেছেন। অপর একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নেবেন। অবশ্যই এরপর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। এই জল্পনার মধ্যেই মনোরঞ্জন ব্যাপারী প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, মনোরঞ্জনের মত অনেক বিধায়ক বাংলায় কাজ করতে পারেন না।

বিজেপি সাংসদ দাবি করছেন, বাংলায় অনেক মানুষ রয়েছেন যারা কাজের সুযোগ পান না। অনেক বিধায়ক রয়েছে যারা কাজ করতে পারেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প তো দূর, রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পান না কেউ। লকেটের বক্তব্য, শাসক দল হিসেবে বাংলার মসনদে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু তাদের বহু বিধায়ক কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলায়। একই সঙ্গে মনোরঞ্জনের পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি হয়তো হতাশাগ্রস্ত হয়ে এমন পোস্ট করেছিলেন। আরো বিস্ফোরক অভিযোগ করে লকেটের দাবি, এই ধরনের পোস্ট করার জন্য মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে দলের তরফ থেকে ধমক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই নাকি ফেসবুক থেকে বিদায় নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। যদিও ফেসবুক পোস্টে মনোরঞ্জন নিজেই দাবি করেছিলেন যে তিনি তাঁর উপলব্ধির কথা ব্যক্ত করেছিলেন। এমনকি তাঁর বক্তব্যের অন্য মানে বের করার জন্য নির্দিষ্ট একটি দলকেও নিশানা করেছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।

আরও পড়ুন- চাপে মোদী-ম্যাক্রন! ফ্রান্সে ফের শুরু হচ্ছে রাফাল নিয়ে তদন্ত

প্রসঙ্গত ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ”এত অভাবী দু্ঃখী মানুষ, এতো তাদের সমস্যা। তাদের সকল আশা ভরসার কেন্দ্রে এখন এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি আমি। আমাকে ঘিরে তাদের অনেক আশা প্রত‍্যাশা। যেন আমার কাছে কোন জাদুকাঠি আছে যা দিয়ে তাদের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি… যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু  জানতাম না, খানিক সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে – সরাসরি যুক্ত হয়ে আর কোনো রাতেই ভালো মতো ঘুমাতে পারছি না।কী এক কষ্টে মাঝরাতে উঠে পায়চারী করতে বাধ্য হই… আমি হাঁপিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *