‘বাবা ছেলের পাশে থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক’! শান্তিকুঞ্জে মধ্যাহ্নভোজে বার্তা লকেটের

‘বাবা ছেলের পাশে থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক’! শান্তিকুঞ্জে মধ্যাহ্নভোজে বার্তা লকেটের

মেদিনীপুর:  ভোটের মুখে রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি আটকে মেদিনীপুরের শান্তিকুঞ্জে। শনিবার দুপুরে শিশির অধিকারীর বাড়িতে হুগলীর বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ নিয়ে ফের চড়তে শুরু করে জল্পনার পারদ৷ 

আরও পড়ুন-  আকাশছোঁয়া পেট্রোপণ্য, প্রতিবাদে গরুর গাড়ি চড়ে অভিনব প্রচার জাভেদ খানের

এদিন লকেটকে মেয়ের মতোই সামনে বসিয়ে খাওয়ালেন শিশির অধিকারী৷ তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই মধ্যাহ্নভোজ সারলেন লকেট৷ শিশির অধিকারীর সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এই সাক্ষাৎ রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা উস্কে দিচ্ছে৷ তবে কি শুভেন্দু, সৌমেন্দুর পর পদ্ম শিবিরে শিশির অধিকারী? 

এদিন শান্তিকুঞ্জে গিয়ে শিশির অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন লকেট৷ তার পর সামনে বসিয়ে লকেটকে খাওয়ান শিশিরবাবু৷ তবে তাঁর কথায়, যে কোনও অতিথি বাড়িতে এলে এভাবেই তাঁর সমাদার করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু এর পিছনে শুধু স্নেহ নয়, ভোট সমীকরণ দেখছে রাজনীতির কারবারিরা৷ কয়েক মাস আগেই দল বদলে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর পথ অনুসরণ করে বিজেপি’তে গিয়েছে শিশিরবাবুর অপর পুত্র সৌমেন্দ্যু৷ দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগ এখন সময়ের অপেক্ষা৷ আর শিশিরবাবু তৃণমূল না ছাড়লেও, দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷ উল্লেখ্য বিষয় হয়, আজকের এই সাক্ষাৎ হঠাৎ নয়৷ এটা পূর্বপরিকল্পিত৷ 

এ প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিশিরবাবু একজন বর্ষীয়ান নেতা৷ মেদিনীপুর মানেই অধিকারী পরিবার৷ ওঁনার কাছে গিয়েছিলাম সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করে প্রণাম জানাতে৷ উনি আমার কাজের প্রশংসা করেছেন৷ গত সাত বছর যে ভাবে দলের জন্য কাজ করেছি, উনি তার প্রশংসা করেন৷’’ তিবি আরও বলেন,‘‘ স্বাভাবিক ভাবেই বাবা তো তাঁর ছেলের পাশে থাকবেই৷ আর ছেলে বাবার পাশে থাকবে৷ এতে নতুন কিছু নেই৷ শিশিরবাবু আমাকে আবার আসতে বলেছেন৷ শুভেন্দুদার মায়ের সঙ্গেও দেখা হয়েছে৷ পরিবারের সকলের সঙ্গে দেখা হল, কথা হল৷ মাছ ভাত খেলাম৷ খুবই ভালো লাগল৷’’

আরও পড়ুন- মমতার ‘বিসর্জনে’র জন্য প্রস্তুত বাংলা, তোপ দিলীপের

আগামী ২৪ মার্চ এখানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আছে৷ এই সভায় কি শিশিরবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে? জবাবে লকেট জানান, এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি৷ এটা নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ৷ শিশির অধিকারীর সঙ্গে বিজেপি’তে যোগদান নিয়েও কোনও কথা হয়নি বলে জানান তিনি৷ তবে তিনি বিজেপি’তে যোগ দিতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীই জিতবে৷ এর মধ্যে কোনও খেলা নেই৷’’  

আজকের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী বলেন, বাড়িতে অতিথি আসলে এভাবেই অভ্যর্থনা জানানো হয়৷ সেই সঙ্গে দলের প্রতি একরাশ ভোক্ষ উগড়ে তিবি জানান, প্রয়োজন হলে ছেলের হয়ে প্রচারে নামতে তিনি প্রস্তুত৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 8 =