অ্যাসিড অ্যাটাক, নারী পাচার-অত্যাচারে এগিয়ে বাংলা! মমতাকে তুলোধনা লকেটের

অ্যাসিড অ্যাটাক, নারী পাচার-অত্যাচারে এগিয়ে বাংলা! মমতাকে তুলোধনা লকেটের

কলকাতা: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একদিকে মিছিল এবং জনসভা করে বাংলার নারী সুরক্ষার কথা মনে করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে গুজরাট এবং উত্তর প্রদেশের খতিয়ান তুলে ধরে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নারী সুরক্ষার ইস্যুতে একহাত নিয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, নারী পাচার এবং অত্যাচার, মেয়েদের উপর অ্যাসিড অ্যাটাকে এগিয়ে বাংলা। এটা আদতে বাংলার মেয়েদের গর্বের ব্যাপার নয়, চরম লজ্জার ব্যাপার।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে লকেট বলেন, এখন অনেক স্লোগান দেখা যায়, ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘এগিয়ে বাংলা’, কিন্তু সব স্লোগান, স্লোগান হিসেবেই থেকে যায়। বাস্তবায়িত কিছু হয় না। কারণেই বাংলা অ্যাসিড অ্যাটাকে এগিয়ে, নারী পাচার এবং নারীদের উপর অত্যাচারে এগিয়ে। এই ঘটনা বাংলার নারীদের গর্বের বিষয় নয়, অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। তিনি আরো বলেন, আজকে যারা হাথ্রাস ঘটনা নিয়ে কথা বলছে, তারা পার্কস্ট্রিট, কামদুনি, জোড়াবাগানের ঘটনা নিয়ে এখনো কিছু করতে পারেনি। এখনো পর্যন্ত কেউ বিচার পায়নি এই সরকারের আমলে। এমনকি পুলিশের কাছে গিয়েও আখেরে কোনো লাভ হয়নি। লকেট আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করে বলেন, ২০১৮ সালের পর এনসিআরবি’র কাছে বাংলা থেকে কোন রিপোর্ট যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় এসে এই প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু বিষয় হচ্ছে, নারী অত্যাচার এবং ধর্ষণের ঘটনা এত বেড়েছে যে থানায় অভিযোগ জানানো হলে কোন কেস নেওয়া হয় না। সেই কারণে বাংলায় কত নারী অত্যাচার হচ্ছে এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে সেই বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। 

আরও পড়ুনকান্নাকাটি অতীত! আজই গেরুয়া হচ্ছেন মমতার একদা ছায়াসঙ্গী সোনালী

লকেটের স্পষ্ট বক্তব্য, যে বাংলার সরকার নারীদের সুরক্ষা দিতে পারে না এবং ধর্ষণ এবং অত্যাচারের শীর্ষে থাকে সেই বাংলার সরকার আজ ‘বাংলার মেয়েকেই চায়’ বলে প্রচার করছে। কিভাবে এই প্রচার করা হচ্ছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ তুলেছেন, “পিসি-ভাইপো” মিলে বাংলাকে নষ্ট করছে, এমনকি গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডেও নাম জড়িয়ে পড়ছে বাংলার মেয়েদের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *