কলকাতা: বিগত কয়েক দিনের তুলনায় বাংলার করোনা ভাইরাস গ্রাফ যথেষ্ট নিম্নমুখী। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। যদিও রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নিয়ে উদ্বেগ অনেক আগে থেকেই রয়েছে এবং দিন দিন বাড়ছেও। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে বারাকপুর লকডাউন জারি করা হল। ৭ দিন ওই এলাকায় লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। আগামী সোমবার থেকে ৭ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন জারি থাকবে ওই এলাকায়। অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন।
বাংলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণে প্রথম থেকেই শীর্ষে ছিল উত্তর ২৪ পরগনা। মূলত বারাকপুর, হাবড়া সহ একাধিক এলাকায় ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তায় রাখছিল প্রশাসনকে। এমনকি মৃত্যুর হার নিয়েও চিন্তা ছিল ব্যাপক। সেই কারণে বারাকপুর পুরসভা কার্যত বাধ্য হয়ে লকডাউন কার্যকরী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে, ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকটি এলাকায় দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণ। সেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভাইরাস পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্কতা নিয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। জানান হয়েছে, জেলার সংক্রমণ বাড়লেই হটস্পট চিহ্নিত করে ‘কনটেনমেন্ট’ জোন ঘোষণা করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে যাবতীয় করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে প্রশাসনকে। বেশ কয়েকটি নতুন বিধি জারি করে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
আরও পড়ুন: কী ভাবে হবে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন? জানিয়ে দিল পর্ষদ ও সংসদ
অন্যদিকে, গতকালের শেষ তথ্য বলছে, রাজ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৮ জন। এই একই সময়ে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ২ হাজার ৩৩ জন। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৪। মৃতদের মধ্যে ১৭ জন উত্তর ২৪ পরগনার। তথ্য বলছে, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এখনও সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। কারণ সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বাধিক ৪৩১ জন, এর পরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, সেখানে আক্রান্ত ৪২৬ জন। কলকাতা শহরের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৬-এ। এর পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়িয়ে রেখেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭.৩৪ শতাংশ।