সিবিআই তদন্তের সময়ে বারবার ‘লোডশেডিং’, হাঁসখালিতে কী হচ্ছে

সিবিআই তদন্তের সময়ে বারবার ‘লোডশেডিং’, হাঁসখালিতে কী হচ্ছে

হাঁসখালি: কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেই হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে তৎপরতা বেড়েছে আরও। ইতিমধ্যেই বেশকিছু বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। অভিযুক্তের বিছানার চাদরে বীর্যের নমুনা থেকে, রক্তমাখা কাপড়ের টুকরো, শ্মশান থেকে তিন টুকরো হাড়, সবই মিলেছে! এখন গ্রামে গিয়ে তদন্তের গতি আরও বাড়িয়েছে সিবিআই। কিন্তু সেখানে অন্য ‘সমস্যা’ দেখা দিচ্ছে। সিবিআই গেলেই বারবার লোডশেডিং হয়ে যাচ্ছে!

আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে পড়লেন হাঁসখালির নির্যাতিতার বাবা-মা, যেতে হল হাসপাতালে

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও বেশ কয়েক বার সিবিআই তদন্ত চলাকালীন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে নদিয়ার হাঁসখালিতে। সিবিআই আধিকারিকরা যখন পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে ঠিক তারপরেই আলো বন্ধ! অন্ধকারের মধ্যেই নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালাতে হয়েছে তাদের। কেন বারবার এইভাবে লোডশেডিং হয়ে যাচ্ছে তা জানতে চেয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যেও। আবহাওয়াকে দায়ি করছে বিদ্যুৎ দফতর, কিন্তু আদৌ সেটা সঠিক দাবি কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ বিগত কয়েকদিনে এমন ঘটনার সম্মুখিন হতে হয়নি হাঁসখালির গ্রামবাসীদের। কিন্তু শেষ দু-তিন দিনে এমন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রামে আসার পরেই এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। শুক্রবারও একই জিনিস। সিবিআই তল্লাশির সময়ে কয়েক ঘন্টা কারেন্ট নেই।

এদিকে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে কোন ঘরে ধর্ষণ হয়। সেখান থেকেই একটি বিছানার চাদর সংগ্রহ করে এনেছিলেন তদন্তকারীরা। তা থেকেই বীর্যের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও রক্তমাখা এক কাপড়ের টুকরো হাতে পেয়েছে পুলিশ। সেটি থেকেও অনেক কিছু জানা যাবে বলে অনুমান সকলের। এখন শ্মশান থেকে পাওয়া এই হাড়ের টুকরো কী তথ্য দেয় বা আদৌ দেয় কিনা তা জানার অপেক্ষায় সকলে। কারণ ওই রক্তমাখা কাপড়ে নির্যাতিতারই রক্ত রয়েছে কি না সেটা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *