ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহল বা ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পালিয়ে গিয়েছিল সে৷ তার খোঁজে শুরু হয় জোড় তল্লাশি৷ কিন্তু তিনি যে সেখানে, কে তা জানত! নিখোঁজ হওয়ার ১৭ ঘণ্টা পর অবশেষে খোঁজ মিলল চিতা বাঘ অশ্বিনী’র৷ চিড়িয়াখানার ভিতরেই খোঁজ মেলে তার৷
আরও পড়ুন- টিকা নিতে গিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারের মারে বৃদ্ধর মৃত্যুর অভিযোগ, ধুন্ধুমার চাঁচলে
এনক্লোজারে রয়েছে দুটি ছানা৷ তাই হয়তো পালিয়ে গেলেও চিড়িয়াখানা চত্বরেই থেকে গিয়েছিল চিতা বাঘটি৷ মুক্তির সুযোগ থাকলেও সন্তানের টানেই নিরুদ্দেশের পথে পা বাড়াতে পারেনি অশ্বিনী৷ লুকিয়ে ছিল চিড়িয়াখানাতেই৷ ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর অবশেষে খোঁজ মিলল তার৷ আপাতত ঘুমের ওষুধ দিয়ে চিতা বাঘটিকে বশে আনার চেষ্টা চলছে৷
গতকাল এনক্লোজার টপকে বাঘ মহারাজ পালাতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা৷ বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও৷ রাতভর তল্লাশি চালিয়েও অশ্বিনীর খোঁজ পায়নি বনদফতর৷ অবশেষে সকালে চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গনেই তার খোঁজ মেলে৷
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, ‘‘চিতাবাঘটি যে খাঁচায় রয়েছে, সেই জালে মেরামতির কাজ চলছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মেরামতিতে কিছু ত্রুটির জেরে কোনও ফাঁক থেকে গিয়েছিল। সেই সুযোগেই চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়।’’ এর পরেই সতর্কতা জারি করা হয়৷