কলকাতা: বিধানসভায় বেনজির সংঘাতের জেরে সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ ৭ বিজেপি বিধায়ক৷ যার জেরে বিধানসভার স্যান্ডিং কমিটির কোনও বৈঠকেও উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাঁরা৷ কারণ বিধানসভা ‘মুলতুবি’ হয়েছে, এখনও ‘সমাপ্ত’ হয়নি৷ শুধু তাই নয়, আপাতত দৈনিক ভাতার টাকাও পাবেন না এই সাত বিধায়ক৷ বৃহস্পতিবারই ৭ বিজেপি বিধায়কদের সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধানসভার সচিবালয় থেকে৷
আরও পড়ুন- জ্বালানির দাম বাড়তেই বাজারে আগুন, কত বাড়ল চাল-তেলের দাম?
এছাড়াও গুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা লাগু হয়েছে সাসপেন্ডেড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপর৷ বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু বিধানসভায় যে চেম্বার পান, সেখানেও যেতে পারবেন না তিনি। যেতে পারবেন না বিধানসভার লবিতে৷ এদিকে, এই চিঠি হাতে পেয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শুভেন্দু৷ টুইটে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে অলিখিত জরুরি অবস্থা চলছে৷ এই প্রথম টানা বিরোধিতার মুখে পড়ে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ভয় পেয়েই বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।’
সাসপেন্ড হওয়া বিধায়করা যে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না, সে কথা বিধানসভা সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল৷ এ বার জানা গেল, সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের দৈনিক ভাতা বন্ধের খবর৷ এক জন বিধায়ক মাসে ২২ হাজার টাকার মতো বেতন পান। এর উপরে প্রতি দিন দু’হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার দরুণ সেই ভাতাই বন্ধ করে দিচ্ছে সচিবালয়৷ মাসিক ৬০ হাজার টাকা বেতন কাটা যাবে তাঁদের৷ শুভেন্দুর মতো একই চিঠি গিয়েছে বিধানসভায় বিজেপি-র মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গার কাছেও। গত ২৮ মার্চ শুভেন্দুর সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয় মাদারহাটের বিধায়ক মনোজকেও৷
এই তালিকায় রয়েছেন নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ, জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতো এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নাম। এঁদের মধ্যে মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে আগেই রাজ্যপালের ভাষণে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বিধানসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যত দিন ওই ৭ বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড থাকবেন, তত দিন এই সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হতে হবে তাঁদের৷ পদ্ম শিবিরের ধারণা, খুব সহজে এই সাসপেনশন তুলবেন না অধ্যক্ষ। বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপি’র যে সকল বিধায়ক বিধানসভায় অশান্তি সৃষ্টি করেন, তাঁদের অধিবেশন ও স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এই পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত না করে মুলতুবি করায় এই সাসপেনশন দীর্ঘ স্থায়ী হলে বলেই গেরুয়া শিবিরের মত। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, স্পিকার অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা না করা পর্যন্ত বাজেট অধিবেশন চলছে বলেই ধরে নেওয়া হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>