কলকাতা: লাগাতার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি আকাশ ছোঁয়া বাজার দরে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের৷ চাল-ডাল থেকে মাছ, সবজি সবকিছুর দাম চড়া৷ লাগাতার পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব বাজার দরে পড়ছে বলেই ক্রেতাদের আশঙ্কা৷ খুচরো বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা৷ লিটার প্রতি সর্ষের তেলের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা৷ সাদা তেল লিটার প্রতি বেড়েছে ৩০-৩৫ টাকা৷ মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে৷
আরও পড়ুন- নির্বাচন কমিটিতেও আনারুল, ফের চিঠি কেলেঙ্কারি, বিস্ফোরক কেষ্ট
ভারতে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে কলকাতায় পেট্রোলের দাম হল ১১২ টাকা ১৯ পয়সা। ডিজেলের দাম পৌঁছেছে একশো ছুঁই ছুঁই। ৮০ পয়সা বেড়ে ডিজেলের দাম হয়েছে ৯৭ টাকা ২ পয়সা। এই নিয়ে গত ১২ দিনে ১০ বার বাড়েছে জ্বালানির দাম। আর জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি মানেই পরিবহনের খরচ বাড়া। কারণ গাড়ির খরচ বাড়লে বাজারে আনা পণ্যের খরচ স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷
কলকাতার বাজারে আসা এক ক্রেতার কথায়, তিনদিন পর পর বাজার করি৷ প্রতিদিনই মনে হচ্ছে মরশুমি সবজির দাম প্রতিদিন ১০ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যেমন, পটল শীত কালে ছিল ৬০ টাকা কেজি, এখনও ৬০ টাকা৷ মাসকাবারির হিসাব একবারে হয় বলে বৃদ্ধিটা সহজেই বোঝা যায়৷ কিন্তু বাজার দর সে ভাবে বোঝা যায় না৷ তবে মাসের শেষ হিসাব মেলালে বৃদ্ধির আঁচ ভালোই টের পাওয়া যাবে৷
অন্যদিকে বিক্রেতার কথায়, বাজারে প্রতিটা জিনিসের দাম বাড়ছে৷ প্রতিদিনই কিলো প্রতি ৫-১০ টাকা বেশি দরে জিনিস কিনতে হচ্ছে৷ তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে জিনিসের দাম৷ এই ভাবে দাম বাড়তে থাকলে প্রতিটি পরিবারকে মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বাড়তি খরচ করতে হবে৷
মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, নির্বাচনে বিজেপি’র জয়, মানুষের কাছ থেকে লুটপাটের লাইসেন্সে পরিণত হয়েছে৷ ১ এপ্রিল ২০২২ থেকে দেশের মানুষের উপর বর্ধিত খরচের পরিমাণ ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা৷ করের বোঝা চাপানো হয়েছে ৬২ কোটি কৃষকের উপর৷ যার প্রভাব পড়ছে বাজার দরে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>