কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় জোট করে লড়বে কংগ্রেস এবং সিপিএম। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই আসন সংখ্যার সমঝোতা নিয়ে বৈঠক করে ফেলেছে দুই দল। এদিন আসন সংখ্যা সমঝোতার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু ধোঁয়াশা বজায় রয়েছে। কে কত আসনে লড়বে সেটা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে আসন সমঝোতা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: অধিকাংশই মমতাকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান! ইঙ্গিত সমীক্ষায়
তিনি বলছেন, শুধুমাত্র আসন সমঝোতা নয় রাজনীতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দলের। তবে আসন সংখ্যা নিয়ে এই মুহূর্তে তিনি কিছু বলতে চান না। এমন সিদ্ধান্তের কারণস্বরূপ জানানো হয়েছে, বাম কংগ্রেসের জোটের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর দল জোট করতে চাইছে। সেই কারণে আজ আসন সংখ্যার সমঝোতা ঠিক কী হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো ঘোষণা করা হলো না তার কারণ ভুল বার্তা যেতে পারে। এর পাশাপাশি রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করে অধীর বলেছেন, স্বৈরাচারী এবং সাম্প্রদায়িক কতকগুলি শক্তি চাইনি এই জোট সফল হোক কিন্তু তারা সফল হয়েছেন। পুর্ণ সহমতে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে অধীর মন্তব্য করেছেন, এইবারের বিধানসভা নির্বাচন ত্রিমুখী হতে চলেছে। তবে আব্বাস সিদ্দিকিকে বাম-কংগ্রেস আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, আসাদুদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গ ছাড়ুন, নয়ত কোনও জোট নয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য তৃণমূল যথেষ্ট কাজ না করায় এবং পরিবর্তে এটি একটি ভোট ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন, সিদ্দিকী। ২১ জানুয়ারিতে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) চালু করেছিলেন এবং কংগ্রেস এবং বাম দলগুলিকে তার মিত্র ও অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। “মুসলিম, আদিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের স্বার্থ” রক্ষা করা, ছিল মূল বক্তব্য।
আরও পড়ুন: যুগলে দেখলেই কড়া ব্যবস্থা! সরস্বতী পুজোতে হুঁশিয়ারি বজরং দলের
অন্যদিকে, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, আসন সমঝোতা নিয়ে কোনোরকম বিতর্ক নেই তবে আব্বাস সিদ্দিকের দলের ব্যাপারে আলোচনা এখনো বর্তমান। তার সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী কথা বলবেন এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি মন্তব্য করা হয়েছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড নিয়ে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। এখন আপাতত সেই ব্রিগেড সফল করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।