কলকাতা: কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এবারে প্রত্যাবর্তন হবে নাকি পরিবর্তন, সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছে এখনো বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যবাসীকে। তবে তার আগে বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হতে পারেন সেই নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছিল। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এখনো অধিকাংশের মত বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় ১৪৬-১৫৬ টি আসন পাচ্ছে তৃণমূল! ইঙ্গিত মিলল সমীক্ষায়
সমীক্ষা বলছে, ৩৮ শতাংশ মানুষ চাইছেন বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে। এদিকে তারপরেই অবস্থান করছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ১৯ শতাংশ মানুষ চান তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন পরবর্তী ক্ষেত্রে। শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন ১০ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, অধীর চৌধুরী, মুকুল রায়, সুজন চক্রবর্তী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন যথাক্রমে ৫ শতাংশ, ৩ শতাংশ, ৪ শতাংশ এবং ৪ শতাংশের সমর্থন। তবে সমীক্ষার ও বলছে, ১৭ শতাংশ মানুষ উপরিউক্ত কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না। সুতরাং এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত নেতা দলে যোগ দিলেও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই সমীক্ষা আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, এই মুহুতে যদি নির্বাচন হয় তাহলে সেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারই আসবে ক্ষমতায়। ইঙ্গিত মিলল সিএনএক্স সমীক্ষায়। জানা গিয়েছে, ১৪৬-১৫৬ টি আসন পেতে চলেছে তারা। এদিকে বিজেপি পেতে পারে ১১৩-১২১ টি আসন। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট পাবে ২০-২৮ টি আসন। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস পাচ্ছে ৪২% ভোট, বিজেপি পাচ্ছে ৩৭% ভোট। বাম-কংগ্রেস পাচ্ছে ১৭% ভোট। ১০ নম্বরের মধ্যে বিগত ১০ বছরের পারফরম্যান্সে কত নম্বর পাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার? সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, ৪১ শতাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ১০ নম্বরে ০-৪ নম্বর দিচ্ছে। অন্যদিকে, ১৮ শতাংশ মানুষ দিচ্ছে ৫-৭ নম্বর। আবার ৮-১০ নম্বর দিচ্ছে ৪১ শতাংশ মানুষ।
আরও পড়ুন: যুগলে দেখলেই কড়া ব্যবস্থা! সরস্বতী পুজোতে হুঁশিয়ারি বজরং দলের
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন। তার আগে একাধিক সমীক্ষা চালিয়ে অনুমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে এই মুহূর্তে কোন রাজনৈতিক দল এগিয়ে বা পিছিয়ে রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এবার সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থা সিএনএক্স। ২৩ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চালানো হয়েছে এই সমীক্ষা। এতে অংশ নিয়েছিলেন ৮,৯৬০ জন।