কলকাতা: NRS হাসপাতালে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে কারণ কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ হস্তান্তর ঘিরে গণ্ডগোল। দেহ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার৷ অন্যদিকে, হাসপাতালের গেটে এক পুলিশ কর্মীকে চড় মারেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি৷ শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, হাতিহাতি৷ এই প্রেক্ষিতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি মন্তব্য করেছিলেন যে, একজন মৃত ব্যক্তির দেহ দেওয়া হচ্ছে না৷ ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এটা কি মানবিকতা? সরকারের গালে থাপ্পর মারা উচিত৷ সামান্য মানবিকতা নেই৷ মেরে তো ফেলেছেনই৷ তার প্রতি সম্মানটুকুও নেই৷ চড় মেরে ঠিক করেছেন বিজেপি নেতা। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দিলীপের মন্তবের চরম বিরোধিতা করলেন তিনি।
আরও পড়ুন- রাজ্যের ৬১ জন BJP বিধায়কের নিরাপত্তা সরাচ্ছে কেন্দ্র! চিঠি গেল নবান্নে
কুণাল এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, একজন হোমগার্ড তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। কেন তাঁকে মার খেতে হবে। প্রশ্ন তাঁর। তিনি আরও বলেন, অকারণে অশান্তি করছে বিজেপি। অভিযুক্তের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যদিও পুলিশের গায়ে হাত তোলার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি৷ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ ধাক্কা ধাক্কি করেছে৷ আমার মনে হয় না কারও গায়ে হাত তুলেছি৷ ২০১২ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সার্জেনকে চড় মেরেছিলেন৷ তার যে শাস্তি হয়েছিল, আমারও তাই হবে৷’’ পরে ফের বয়ান বদলে তিনি বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে মারা হয়নি৷ ওখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল৷ পুলিশ বাজে ব্যবহার করছিল৷ পশ্চিমবঙ্গের আইন বিজেপি ও হিন্দুদের জন্য নয়৷ আমি চড় মেরেছি সেটা স্বীকারও করছি না আবার অস্বীকারও করছি না৷ মামলা হলে আদালতে বুঝে নেব৷”
আরও পড়ুন- আরও এক উপনির্বাচন পুজোর আগেই! দিন ঘোষণা কমিশনের
আজ সকাল থেকেই এনআরএস-এ উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা৷ অর্জুন সিং, সজল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিবরিওয়ালরা ছিলেন শুরু থেকেই৷ অর্জুন সিং ও সজল ঘোষের অভিযোগ, তাঁদের হাসপাতালে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে৷ এর পর অভিজিৎ সরকারের দেহ আনার জন্য যখন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার ও পরিবারের সদস্যরা পৌঁছন, তখন উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে৷ এর পরেই দেখা যায় দেবদত্ত মাজি হোমগার্ডকে চড় মারছেন৷ তাঁকে ধাক্কা দিয়েও সরিয়ে দেন৷