কলকাতা: বিরোধী দলনেতার পথ থেকে সরে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, বরং বলা ভাল, সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এমনকি এও বললেন, এই খবর তাঁকে নাকি বিজেপিরই লোক দিয়েছে! সব মিলিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- মমতার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা! জল্পনায় ইতি
কুণালের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা হয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজের দলের বিধায়কদের ধরে রাখতে পারছেন না এবং তার ফলে বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কুণালের কথায়, বিজেপি দল থেকে নেতা এবং মন্ত্রীরা বেরিয়ে যাচ্ছে কারণ শুভেন্দু অধিকারী কারোর সঙ্গে মিশছেন না। এভাবে যদি নেতারা বেরিয়ে যেতে থাকে দল থেকে তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলের নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এমনই দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র। এই ইস্যুতে তিনি আরো বলেন, বিজেপির নেতারাই নাকি তাকে এই কথা জানিয়েছে। তাই কুণালের কটাক্ষ, শুভেন্দু অধিকারী সামনের দিকে তাকিয়ে বড় বড় কথা বলছেন কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না যে তাঁর পেছনে আর কেউ নেই। তবে কুণালের এই বক্তব্যে কতটা সত্যতা বা যুক্তি রয়েছে তা এখনও বোঝা শক্ত। যদিও সম্প্রতি দিল্লিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছিলেন সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণালের এই বক্তব্য যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরের দিন ঘোষণা! কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘সন্দেহ’ দিলীপের
ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, এখনো কমপক্ষে ২৫ জন বিধায়ক লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাদের দলে নিচ্ছে না। আগামী দিনে বিজেপির অবস্থা আরো খারাপ হবে। আগামী দিনেও বিজেপির সমস্ত পরিকল্পনা মাটিতে মিশে যাবে, বলে মন্তব্য ছিল তাঁর। তাহলে কি সেই ২৫ জন বিধায়কের মধ্যেই কেউ কুণাল ঘোষকে তথ্য দিলেন? প্রশ্ন উঠতেই পারে, তবে উত্তর দেবে সময়। আসলে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের যেমন অবস্থা হয়েছিল এখন যেন বিজেপির ঠিক সেই অবস্থা হতে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে একে একে দলবদল করছিলেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা এবং বিধায়করা। নির্বাচনের পরে এই চিত্রই বদলে গিয়েছে বিজেপির বিপক্ষে। ইতিমধ্যে মুকুল রায় সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক দলবদল করে ফেলেছেন। আরো কয়েকজন বেসুরো হয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে।