কলকাতা: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রধান অপরাধী শেখ কওসরের সাজা ঘোষণা করল আদালত। ২৯ বছরের সাজা শোনানো হল তাকে৷ এর আগে ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে এই ঘটনায় ৩১ জনের মধ্যে ১৯ জনকে সাজা দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ আজ সাজা ঘোষণা হল মূল অভিযুক্ত শেখ কওসরের৷
আরও পড়ুন- কালই ঠাকুরনগরে আসছেন শাহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে মতুয়াদের প্রস্তুতি তুঙ্গে
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর দুর্গা পুজোর অষ্টমীর দিন বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে৷ ওই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দু’জনের৷ তার হল শাকিল আহমেদ ও শোভন মণ্ডল৷ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ৷ ঘটনাস্থল থেকে ৫৫টি আইইডি উদ্ধার করে পুলিশ৷ উদ্ধার হয় আরডিএক্স, সিম কার্ড৷ এর পর এই বিস্ফোরণের জল বহুদূর গড়ায়৷ ২০১৯ সালের জুন মাসে খাগড়াগড় কাণ্ডের মূল পাণ্ডা হাবিবুল রহমান শেখকে কর্ণাটকের রাজধানী শহর বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে এনআইএ৷
এই ঘটনায় মোট ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আনে এনআইএ৷ এর মধ্যে ৩০ জনের সাজা আগেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা হয়েছিল৷ কিন্তু বুধবার এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কওসরকে ২৯ বছরের সাজা শোনানো হল৷ এই ঘটনায় সব মিলিয়ে সাজা হল ৩১ জনের৷
আদালতের এদিনের রায়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ খাগড়াগড়কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জাইদুল ইসলাম ওরফে শেখ কওসারের ওরফে বোমারু মিজানকে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মোট ২৯ বছরের সাজা শোনাল এনআইএ-র বিশেষ আদালত৷ ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিস্ফোরণের ঘটনার অন্যতম মাথা ছিল খুলনার বাসিন্দা এই শেখ কসওসর৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালতের এই সাজা ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ২৯ বছরের সাজা ঘোষার পাশাপাশি ২৯ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে৷
আরও পড়ুন- ‘টার্গেট আছে, অনেকটা দেখে দেবো’! পার্শ্বশিক্ষক, আশাকর্মীদের প্রতিশ্রুতি মমতার
শেখ কওসর জামাত উল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য ছিল৷ তার উপরেই মূলত ভারতে জামাত উল মুজাহিদিনের শক্তি নির্ভর করত৷ ভারতবর্ষের আমির বা নেতার পদে ছিল সে৷ খাগড়াগড় কাণ্ডের পাফাপাশি ২০১৫ সালে বুদ্ধ গয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডেও হাত ছিল কওসররের। ২০১৫ সালে খাগড়াগড়কাণ্ডে প্রথম চার্টশিট জমা দেয় এনআইএ৷ তাতে বলে হয়, জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ এই ঘটনার জন্য দায়ী৷