নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরনগর: বাকী থাকা সফর এবার সম্পূর্ণ করতে চলেছেন শাহ৷ আগামীকাল ঠাকুরনগরে সভা করতে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ যার ফলে শাহের সভাপ প্রস্তুতি ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে৷ দূরদূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে মতুয়ারা৷ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে হেলিকপ্টার ট্রায়েল রান, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তবে এতসবের মধ্যে কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য মমতাবালা ঠাকুর?
মমতাবালার দু’বার কথা দিয়ে কথা রাখেননি৷ মতুয়ারা বিক্ষোভও করেছিল এর আগে৷ তবে তৃতীয়বার তাঁর আশায় মতুয়াদের মধ্যে সেরকম উত্তেজনা বা উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ একবার মানুষের উত্সাহ ভেঙে গেলে কী আর সেই উত্সাহ আসে? মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়ে আছে৷ তিনি আরও বলেন, জানি না উনি কী বলবেন কী দেবেন৷ কিন্তু মতুয়াদের আশাভঙ্গ হয়েছে৷ একইসঙ্গে ফের মতুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা ভারতের নাগরিক৷ তাই নতুন করে তাদের কাছে নাগরিকত্ব চাওয়ার কিছু নেই৷
ইতিমধ্যেই ঠাকুর বাড়িতে পৌঁছাতে শুরু করেছে দূর-দূরান্তের মতুয়া ভক্তরা। উত্তরবঙ্গ থেকে মতুয়া ভক্তরা ঠাকুর বাড়িতে পৌঁছে জানাচ্ছেন নাগরিকত্ব নিয়ে বার্তা দেবেন অমিত শাহ৷ সেই আশাতে দ্বিতীয়বারের জন্য ঠাকুরনগরে আসা।
প্রসঙ্গত, ৩০ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে আসার কথা ছিল অমিত শাহের৷ দিল্লিতে বিস্ফোরণের জেরে বাতিল হয়ে তাঁর বঙ্গসফর৷ অমিতের বঙ্গ সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় যাতে মতুয়ামহলে ক্ষোভ তৈরি না হয়, সে জন্য ঠাকুরনগরে যান রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিওয়াল। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন। ঠাকুরনগরে অমিতের সমাবেশের অন্যতম লক্ষ্য ছিল নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের ক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা। এবারও সেই একই চেষ্টায় বঙ্গে আসছেন শাহ, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের৷