কলকাতা: দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে অমিত শাহের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ দল বদলেই তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে৷ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের বিঁধলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- TET ‘কেলেঙ্কারি’র তৃণমূল বিধায়ক এখন বিজেপির! কীভাবে হবে ‘সোনার বাংলা’?
এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা প্রচুর মানুষ এনেও মাঠ ভরাতে পারেননি৷ মেদিনীপুরের স্থানীয় মানুষরাই ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন না৷ সবাই ছিল বাইরের লোক৷’’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১৯৯৮ সালে যখন তৃণমূল গঠিত হয়, তখন আপনি দলে ছিলেন না৷ তাই প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করার দাবি করবেন না৷ শিশির অধিকারী এই দাবি করলে মেনে নেব৷’’
শুভেন্দুর আদর্শ নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘আদর্শ নিয়ে আপনি কী বলবেন? কোন আদর্শে আপনি দল ছাড়লেন? আপনার বুকের পাটা নেই৷ আপনি কাপুরুষ বলেই ভাইপোর নাম নিতে পারলেন না। আপনার বুকের পাটা যদি থাকে তাহলে নাম নিয়ে দেখান৷’’ কটাক্ষের সুরে কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘আর সম্মান পাননি আপনি? কী পাননি? আর কত সম্মান চাই? গত দশ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বৈঠকে এলেই আগে প্রশ্ন করতেন শুভেন্দু কোথায়? তিনটি মন্ত্রক দেওয়া হয়েছিল৷ একাধিক কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন৷ একাধিক জেলার অবজার্ভার৷ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দিলে তবে আপনি সম্মানিত হতেন? না হলেই অসম্মানিত?’’
আরও পড়ুন- মেদিনীপুরে মেগা যোগদান: কারা কারা ধরলেন পদ্ম, দেখুন তালিকা
বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম, মাতঙ্গিনী হাজরার মাটিতে এমন একজন আদর্শহীন, বিশ্বাসঘাতক জন্মাতে পারে মেদিনীপুরের মানুষও কোনও দিন কল্পনা করতে পারেনি৷ সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে চান না৷ একটা মিথ্যে কথা বাজারে রটানো হচ্ছে৷ মিথ্যে কথা বলার সুদক্ষ কারিগর ভারতীয় জনতা পার্টি৷’’