কলকাতা: জল্পনা যেমন ছিল, হলও তেমন। আজ মেদিনীপুরের বিজেপির জনসভায় একাধিক নেতা, কর্মী, মন্ত্রী যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির দাবি ছিল, শুধু শুভেন্দু-শীলভদ্র নন, গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন তৃণমূলের ১০ জন বিধায়ক। আখেরে হল তাই। রাজ্য জুড়ে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত স্তরের বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি এবং তৃণমূলের জেলা সংগঠনের বহু নেতা এদিন হাতে ধরলেন পদ্ম। কারা কারা আদতে যোগ দিলেন বিজেপিতে, দেখে নেওয়া যাক।
শুভেন্দু অধিকারী তো আছেনই, তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক সৈকত পাঁজা, কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, নাগরাকাটার তৃণমূল বিধায়ক সুকরা মুণ্ডা, উত্তর কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, গাজোলের তৃণমূল বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস, ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, তমলুকের সিপিআই বিধায়কঅশোক দিন্ডা, পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়াও যোগদানকারী উল্লেখযোগ্য তৃণমূল নেতাদের মধ্যে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল৷ পাশাপাশি প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দশরথ তিরকে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও যোগ দিচ্ছেন বিজেপি-তে৷ তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের তৃণমূল নেতা কর্নেল দীপ্তাংশ চৌধুরী৷
এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘দিদির অভিযোগ, ভারতীয় জনতা পার্টি দল বদল করায়৷ আপনাকে স্মরণ করাতে চাই আপনি কোন দল থেকে এসেছেন? আপনি যখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস বানিয়েছিলেন, সেটা কি দল বদল ছিল না? আজ শুভেন্দু অধিকারী বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার, শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে মোদীজির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন৷ এটাকে দল বদল মনে হচ্ছে আপনার?’’
তাঁর হুঙ্কার, ‘‘এতো সবে শুরু৷ নির্বাচন আসতে আসতে আপনি একা হয়ে পড়বেন৷ বাংলায় যে সুনামি আসতে চলেছে, দিদি হয়তো সেই কল্পনাও করতে পারেননি৷’’ অন্যদিকে, শুভেন্দুর স্পষ্ট দাবি, বাংলার যদি উন্নয়ন করতে হয় তাহলে এখানে দরকার ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বাংলাকে তুলে দিতেই হবে বলে বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি দাবি করেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দ্বিতীয়ই হবে, প্রথম হতে পারবে না কারণ প্রথম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তারাই আগামী বছর সরকার গড়বে পশ্চিমবাংলায়।