কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশেই চলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলি। সেক্ষেত্রও দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্য পার্থক্য দেখা দিলে মোদী-অমিত শাহের মধ্যে পার্থ্যকের সমতুল্য হয়ে দাঁড়ায়। এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- উঠেছিল যৌন হেনস্থার অভিযোগ, মামলায় মুক্তি অধ্যাপক-কবি অংশুমান করের
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মেধা তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর মেধাতালিকা অনুযায়ী কাউন্সিলিং ও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মামলাকারীর আইনজীবী সৌমিক প্রামানিকের অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী মোট নিয়োগের ১০ শতাংশ প্যারা টিচার নিয়োগ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষক পদে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি৷ অপার প্রাইমারির ২৭৪ জন প্যারা টিচারের তালিকা থেকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অপার প্রাইমারির টিচারদের নিয়োগ হবে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদে, আর প্রাথমিক প্যারা টিচাদের নিয়োগ হবে প্রাথমিক শিক্ষক পদে। আইনজীবীর দাবি, এক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিক প্যারা টিচারদের নিয়োগ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যা নিয়ম বহির্ভুত৷
আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
শুনানির শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে বলেন, আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে জেলা ভিত্তিক কত জনকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে এবং এর মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক থেকে কত জনকে নিয়োগ করা হয়েছে সেই তথ্য হলফনামায় জানাতে হবে৷ আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশের পর ৫ জন উচ্চ প্রাথমিক প্যারা টিচারের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিল শিক্ষা সংসদ। এই বিষয়টিও আদালতের সামনে তুলে ধরেন আইনজীবী কল্লোল বসু। বিচারপতির নির্দেশ করোনা আবহে বেতন বন্ধ করা খুবই দুঃখজনক৷ এতে ওই শিক্ষককে অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আদালত কখনই শিক্ষা সংসদ বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয়নি।আদালত ওই সমস্ত শিক্ষকদের কথা মাথায় রেখেই বিচার চালাবে।