কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয়র পর কি লকেট চট্টোপাধ্যায়? এবার হুগলি’র বিজেপি সাংসদের দল বদলের জল্পনা তুঙ্গে৷ কানাঘুষো ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি৷ অন্যদিকে, লকেটকে দলে ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব৷ মঙ্গলবার লকেটের সঙ্গে নিজের বাসভবনে দীর্ঘ বৈঠকও করেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷ যদিও দলত্যাগের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি, ওই বৈঠকে তাঁদের মধ্যে অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘আমাদের প্রার্থী খুব ভালো’, প্রিয়াঙ্কার হয়ে প্রচারে এসে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী
লকেট জানান, তাঁকে উত্তরাখণ্ড বিধানসভা ভোটের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে৷ সেই বিষয়েই নাড্ডাজির সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে৷ উল্টে তিনি বলেন, “নাড্ডাজি তো জানতেনই না যে আমাকে নিয়ে এমন একটা খবর রটেছে। আমিই ওঁকে জানালাম। শুনে তো উনি একেবারে হতবাক৷ বুধবার যোশীজির সঙ্গে উত্তরাখণ্ড নিয়ে ফের বৈঠকে বসব আমরা৷ সেই বিষয়েই এদিন কথা হয়েছে।” লকেট যতই অস্বীকার করুন, জেপি নাড্ডার সঙ্গে শুধুমাত্র ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা মানতে নারাজ রাজনীতির কারবারিরা৷ উত্তরাখণ্ডের ভোটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকের অনুপস্থিতিতে কেবল সহ-পর্যবেক্ষকের সঙ্গে সর্বভারতীয় সভাপতি বৈঠক করেছেন, এমনটা বিজেপিতে সচরাচর হয় না। তবে লকেটের সঙ্গে এদিন যে বাংলা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেই ইঙ্গিত লকেটের কথা থেকেই মিলেছে৷
লকেট বলেন, “রাজ্যে নতুন সভাপতি এসেছেন৷ তাঁর সঙ্গে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে৷ সে কথা নাড্ডাজিকে জানিয়েছি।” তাঁর সমস্ত কথা নাড্ডাজি মন দিয়ে শুনেছেন বলেও জানান লকেট। হুগলির সাংসদকে যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে এদিনের বৈঠক থেকেই তা স্পষ্ট৷ রাজ্যে দলের ভাঙন রুখতে সতর্ক গেরুয়া শিবির৷ গোটা বিষয়টা সন্তর্পনে সামলানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- মমতার বুথে, অভিষেকের নাকের ডগা দিয়ে এবার প্রচারে নামছেন সুকান্ত
এদিকে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল যোগ দেওয়ার পর থেকেই খবর ছড়ায় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ অভিষেকের সঙ্গে দেখা করার খবরও রটে যায়৷ তবে এদিন সেই সকল জল্পনায় জল ঢালেন লকেট৷ তিনি বলেন, আমি বিজেপি ছাড়তে যাব কেন? আমাকে উত্তরাখণ্ডের সহ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে৷ জাতীয় রাজনীতিতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কারণ দেখতে পাচ্ছি না৷’