চা বাগানের জমিতে ‘অনুমতি ছাড়াই’ বাড়ি! আবারও বিতর্কে জন বার্লা

চা বাগানের জমিতে ‘অনুমতি ছাড়াই’ বাড়ি! আবারও বিতর্কে জন বার্লা

আলিপুরদুয়ার: বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। তবে এখন আবার এক নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। অনুমতি ছাড়া ডুয়ার্সের চা বাগানের জমিতে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে! দাবি করা হচ্ছে, চা-বাগানের যে জমিতে তিনি নিজের অট্টালিকা বানিয়েছেন সেই বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিনি কোনো অনুমতি নেননি। এই নিয়েই এখন জোর বিতর্ক।

ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের জমিতে বাড়ি তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে এই বাড়ি তৈরীর জন্য বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কখনোই কোনো অনুমতি নেননি তিনি। এই ইস্যুতে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ওই বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয় বিষয়টি জানার জন্য। বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে উত্তর পাঠানোর জন্য। এই ইস্যুতে ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ অফ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, লক্ষ্মী পাড়া চা-বাগানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তথা সাংসদের কোয়ার্টার রয়েছে কিন্তু সেখানে কোন নির্মাণ কাজের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে প্রশাসন এবং বাগান মালিক সংগঠন জানাচ্ছে যে চা বাগানের কাজ ছাড়া অন্য কোন নির্মাণকাজ বাগানের জমিতে হতে পারে না, তার জন্য ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কোনরকম অনুমতি নেননি বলে জানা যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন- ‘দলে লুকিয়ে রয়েছে বিজেপি এজেন্ট’, মনোরঞ্জনের পোস্টে শোরগোল

কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে গঠন করার দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। জনের এই দাবিকে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা এবং বিধায়ক সমর্থন জানিয়েছিলেন। যদিও রাজ্য বিজেপি এই ইস্যুতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে ছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে বিজেপি বঙ্গভঙ্গ চায় না এবং বঙ্গভঙ্গ হতে দেবে না। পরে এই সাংসদকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তথা নরেন্দ্র মোদী বাহিনী। যদিও এখন তিনি আবার নতুন একটি বিতর্কের মধ্যমণি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *