কলকাতা: কিছু দিন আগেই বিদ্রোহ ঘোষণা ঘোষণা করে তৃণমূল ছেড়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ আবার ঠিক পরের দিনই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছিলেন, ‘‘ভুল করে ফেলেছি। তৃণমূলেই থাকব। দিদির কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নেব।’’ কিন্তু দলে ফিরলেই কি পুরনো পদ ফিরে পাবেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি? তৃণমূল সূত্রে খবর, দলে ফিরলেও এখনই গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে না তাঁকে৷ তিনি তৃণমূলে থাকবেন কিনা, আগে তা পরখ করে দেখা হবে৷ তাঁর পরেই নতুন করে দায়িত্ব সঁপার কথা ভাববে দল৷
আরও পড়ুন- ‘রাজভবন ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিক রাজ্যপাল’, কটাক্ষ পার্থর
প্রসঙ্গত, আসানসোলের অনুন্নয়নের জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ অভিযোগ জানিয়ে খোদ পুরমন্ত্রীকেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। ওই চিঠিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন জিতেন্দ্র৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের ২০০ কোটি টাকা আসানসোলকে নিতে দেওয়া হয়নি৷ একই কারণে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ১,৫০০ কোটি টাকাও পায়নি আসানসোল৷ এই চিঠি হাতে পেয়েই জিতেন্দ্রকে তলব পাঠানো হয়৷ কিন্তু তিনি কলকাতায় আসেননি৷ এর পরেই মাথাচাড়া দেয় তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা৷
আরও পড়ুন- ২১ বছর তৃণমূল করেছি ভাবতে লজ্জা হচ্ছে, হেস্টিংসের ঘটনায় বিদ্রোহী শুভেন্দু
অন্যদিকে জিতেন্দ্রকে দলে নেওয়া নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানান বাবুল সুপ্রিয় সহ একাধিক বিজেপি নেতা৷ প্রতিকূল স্রোত বুঝেই পাল্টি খান তিনি৷ অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেই জানান, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল৷ এখন তা মিটে গিয়েছে৷ কিন্তু জট যে পুরো কাটেনি তা বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে৷ কারণ, দলে ফিরলেও এখনই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আসানসোল পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক বা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতির পদে ফেরানো হচ্ছে না। তৃণমূল হাইকমান্ড মনে করছে, জিতেন্দ্র পদ ফিরে পেলে আগামী দিনে অনেকেই তাঁর মতো বিদ্রোহের পথে হাঁটবে৷