কলকাতা: দল তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বলে জানান হয়েছে। কিন্তু আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার যা যা বললেন এরপর বিজেপি নেতৃত্ব কী ব্যবস্থা নিতে পারে তা নিয়ে আলাদা আলোচনা হতেই পারে। বিজেপি দলের একাংশকে যেমন নিশানা করেছেন জয়প্রকাশ, ঠিক তেমনই দলের ‘বড় নেতাদের’ একহাত নিতে ছাড়েননি তিনি। এই প্রেক্ষিতে তিনি উল্লেখ করেছেন দুটি দিনের কথা।
আরও পড়ুন- সদ্যোজাতকে বুকে আগলে ভিক্ষা করা ‘অবাঞ্ছিত’ সিন্ধুতাই হয়ে ওঠেন হাজার ‘অনাথের মা’
এদিন জয়প্রকাশ জানান, ২ মে ফল ঘোষণার দিন বিধানসভা ভোটে হার বুঝতে পেরেই বিজেপি-র বড় বড় নেতারা বাংলা ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। সেই সময় সাংবাদিক বৈঠক করার মতো কেউ ছিল না, কেউ আসেনি। সেদিন তিনি একা ছিলেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে। এছাড়াও আরও একটি দিনের কথা উল্লেখ করেন বিজেপি নেতা। বলেন, ১১ জুনের কথা, যেদিন মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে গিয়ে বিজেপি ত্যাগ করেন। জয়ের কথায়, সেদিনও অন্য কোনও নেতাকে সামনে দেখা যায়নি। সাংবাদিকদের সামনে তাঁকেই এগিয়ে দেওয়া হয় বলে বিস্ফোরক দাবি তাঁর। তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আরও দাবি করেছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের বিপর্যয় নিয়ে দলে কোনও আলোচনা হয়নি। যাঁরা আলোচনা করতে চেয়েছেন, তাঁদের বৈঠকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা মার খেয়েছেন তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
অন্য রাজ্য থেকে নেতাদের এনে বাংলার যে রাজনীতি করার চেষ্টা হয়েছে সেটাও যে তিনি ভাল চোখে দেখেননি তাও আজ স্পষ্ট করে দেন জয়প্রকাশ। জানান, যে নেতা বা কর্মীদের জন্য বিজেপি ভোট ৪০ শতাংশে উঠল, তাদের পাত্তা না দিয়ে ভোটের কয়েক মাস আগে বলা হয় যে বাইরে থেকে নেতাদের নিয়ে এসে দেখিয়ে দেওয়া হবে। তখনই দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্য প্রদেশ থেকে লোক আনা হয়।