মাথা ভেঙেছে, পা ভেঙেছে, কিন্তু ওরা মন ভাঙতে পারেনি! মমতার প্রশংসায় জয়া

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগামী দিনে থাকেন তাহলে বাংলার এখন যা উন্নতি হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি উন্নতি হবে। 

b6f541249d22d2ed98f9799aec87f01c

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রচারে বিজেপি প্রায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাংশকে বাংলায় প্রচারের জন্য নিয়ে এসেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রমুখ। এদিকে তারকা প্রচারক হিসেবে বিজেপি কাজে লাগিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যে প্রচারে এসেছেন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী জয়া বচ্চন। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন।

সমাজবাদী পার্টির নেত্রী জয়া বচ্চন রাজ্যসভার সদস্য। তিনি বক্তব্য শুরু করলেন নিজের আসল নাম এবং পিতৃপরিচয় দিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি নেতাদের বহিরাগত বলে আক্রমণ করে চলেছে প্রথম থেকেই। তার নির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করেছে তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিন জয়া বচ্চন নিজের পরিচয় দিলেন এই কারণেই, যাতে তাকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করতে না পারে বিজেপি। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, প্রবাসী হলেও তিনি আদতে বাঙালি এবং বাঙালি থাকবেন। এদিন জয়া মমতার প্রশংসায় মন্তব্য করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা ভেঙেছে, পা ভেঙেছে কিন্তু ওরা তাঁর মন এবং আত্মবিশ্বাস ভাঙতে পারেনি। তিনি বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার করতে এসেছেন কারণ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান করেন। জয়ার কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা সবার বিরুদ্ধে লড়াই করে পশ্চিমবঙ্গকে বিশ্বের সেরা বানাতে চাইছেন। 

আরও পড়ুন- মমতা আসলে নিজের প্রার্থীদেরই গদ্দার বলছেন! ব্যাখ্যা দিলেন অধীর

তিনি আরো বলেন, বাঙালি সবসময় নিজের বুদ্ধি এবং মন যা বলেছে সেই মত কাজ করেছে। কেউ বাঙালিকে কখনো ভয় দেখিয়ে সফল হতে পারেনি আর আজকেও পারবে না। আদতে এই মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে নিশানা করেছেন জয়া বচ্চন। কারণ বিজেপি যে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে ভয় দেখিয়ে খবর করাচ্ছে সেই অভিযোগ আগেই করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি জয়া জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগামী দিনে থাকেন তাহলে বাংলার এখন যা উন্নতি হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি উন্নতি হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *