কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে সোমবার শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি৷ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পার্থ ভৌমিকের হয়ে সওয়াল করেন সপ্তাংশু বসু৷ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘আমি মন্ত্রী, বিধায়ক। আমার একটা সম্মান আছে সমাজে। অথচ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে আমার নাম রয়েছে দুষ্কৃতীর তালিকায়।’’
আরও পড়ুন- রূপনারায়ণ-দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত খানাকুল, উদ্ধারে নামল সেনাবাহিনীর কপ্টার
এর প্রেক্ষিতে মহেশ জেটমালানি বলেন, ভোট পরবর্তী অশান্তি যে হয়েছে, সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। অভিযোগকারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এখানে কারও সম্মানের থেকেও বিষয়টা অনেক বড়। তিনি আরও বলেন, পুলিশ বলছে ২৯টি খুন হয়েছে। NHRC বলছে ৫২টি। পুলিশের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে NHRC র রিপোর্টে বিস্তর ফারাক। ৬০ শতাংশ অভিযোগই এখানে নেই। শুধু তাই নয়, পুলিশের খাতায় মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ মাত্র ১২টি৷ সেখানে NHRC এর রিপোর্ট অনুযায়ী সেই সংখ্যা ৭৯। জেটমালানি আরও বলেন, রাজ্য NHRC র অনেক অভিযোগ মানতে নারাজ। এমনকী নিরপেক্ষতার প্রশ্নেও NHRC –র সদস্যদের আক্রমণ করেছে রাজ্য। অথচ ১,৩৫৬টি অভিযোগ রুজু না করেই রাজ্য সেগুলো খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর নবান্ন, উদ্ধার ৯০ হাজার মানুষ, চলছে ত্রাণ বিলি
জেটমালানি আরও বলেন, খতিয়ে না দেখলে পুলিশ কি ভাবে সঠিক বিষয়টা জানতে পারবে? বিষয়টি খতিয়ে দেখার আগেই আগেই তো অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে পুলিশ। রাজ্যের বক্তব্যের মধ্যেই পার্থক্য আছে। সরকার বলছে, ৫ মে’র পর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু রাজ্য সেগুলো ভোট পরবর্তী অশান্তি বলতে নারাজ।
এর পরেই আদালত জানতে চায়, রাজ্যে অপরাধ হচ্ছে আপনি এমন কিছু উদাহরণ দেখতে পারবেন? যেই অপরাধ ২ মে এবং ৫ মে’র পরে হয়েছিল। তাহলে সেটা ভোট পরবর্তী অশান্তি মানা যাবে। জবাবে জেটমালিনি বলেন, অবশ্যই দেখানো সম্ভব। সেই উদাহরণ আদালতে পেশ করা হবে।