কলকাতা: হাইপ্রোফাইল নারদ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করেনি কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ৷ এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদলতে যান তিনি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু এদিন শুনানি পিছিয়ে যায়৷ বুধবার শুনানির সম্ভাবনা৷ পিছিয়ে গেল নারদ মামলার শুনানি৷ আগামীকাল বুধবার বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন- সিঁদুর পরে অসত্য তথ্য! নুসরতের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে স্পিকারকে চিঠি BJP সাংসদের
• মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা নারদ মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি বিনীত সরানের ডিভিশন বেঞ্চে। দুপুর ২টোয় হবে মামলার শুনানি৷
• সুপ্রিম কোর্টের ওপরেই নির্ভর করছে কলকাতা হাইকোর্টের নারদ মামলার শুনানির ভবিষ্যৎ৷
• ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি এই হাইভোল্টেজ মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন।
• নারদ মামলা এবং ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু৷
নারদ মামলা শুধু নয় ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়ে যেভাবে জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটছে সেই মামলার শুনানিও ছিল বিচারপতি হেমেন গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে৷ মঙ্গলবার সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। দীর্ঘদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু৷ পদোন্নতি পেয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে বিচারপতি পদে থাকায় আগামী দিনে যাতে কোন রকম যাতে কোনও রকম প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়, সেই কারণেই এই দুটি মামলা থেকেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
আরও পড়ুন- শিশু সুরক্ষায় উদ্বিগ্ন রাজ্য, তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গঠিত হল ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে গণনায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এই মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে মামলা স্থানান্তরিত করে দেন৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সরব হয়েছেন। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস নয় বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবী প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দিয়ে জানান অবিলম্বে বিচারপতি কৌশিক এজলাস থেকে মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে৷