‘মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব’, চ্যালেঞ্জ মমতার

‘মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব’, চ্যালেঞ্জ মমতার

4138e6f6b403581b053dc2a06a6dfd52

বনগাঁ: বনগাঁয় গোপাল নগরের সভা থেকে এদিন ইস্তফার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ খানিকটা বিরক্তির সুরেই তিনি বললেন, ‘‘যে ভাবেই হোক না কেন আমি সব কাজ করে দেওয়া চেষ্টা করি৷ চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আমার জায়গায় এই কাজ অন্য কেউ করতে পারলে একদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব৷’’

আরও পড়ুন- শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

ক্ষোভের সুরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যতটা সম্ভব ততটা করে দেওয়ার চেষ্টা করার পরও অভিযোগ উঠছে৷    আমাকে দুঃখ দেবেন না৷ অনেক সময় মনে হয় আমার থাকাই হয়তো উচিত নয়৷ এত কাজ করবার পরেও হয়তো মানুষ আমাকে চায় না৷’’ তাঁর দাবি,  আট বছরে বাংলায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের কোনও প্রান্তে হয়নি৷ ১০ কোটির মানুশের মধ্যে সাড়ে ৯ কোটি মানুষ কোনও না কোনও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন৷ ৫০ লক্ষ মানুষ হয়তো বাদ রয়েছেন৷  সবাই যদি বলেন আমার চাই তাহলে আমার পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব নয়৷ সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

বিরক্তির সুরেই তিনি বলেন, কাউকে কাজ দিলেই সে স্থায়ীকরণের দাবি তুলছে৷ পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টারভিউ দিয়ে কাজ পেলে, সেই চাকরি স্থায়ী হয়৷ হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছে৷ এর জন্য কোনও পরীক্ষাও দিতে হয়নি৷ তোষামদও করতে হয়নি৷ আমি চাইও না চাকরির জন্য আপানারা কাউকে এক পয়সাও দেন৷ সরকার কাজের বদলে একটা পয়সাও চায় না৷ কেউ টাকা চাইলে তাঁর নামে এফআইআর করারও নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- ক্যা-ক্যা করে প্রতারণা করছে বিজেপি, নাগরিকত্ব ইস্যুতে তোপ মমতার

তিনি বলেন, যেটা দেওয়ার সেটা দেব৷ যেটা হওয়ার নয় আমাকে বিক্রি করলেও হবে না৷ সরকারের কতগুলি নিয়ম রয়েছে৷ প্রেসের নজর কাড়ার জন্য কিছু কাজ করা হচ্ছে৷ কিছু বলার থাকলে দুয়ারে সরকারে গিয়ে চিঠি জমা দেবেন৷ কৃষক বন্ধু থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকার কাজ চলছে৷ আপনাদের প্রয়োজন মতো সুবিধা গ্রহণ করুন৷ এছাড়াও সরকার বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছে৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা করানোর সুযোগ দিচ্ছে৷ এই কাজ অন্য কারও পক্ষে করা সম্ভব নয় বলেও সুর চড়ান তিনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *