কলকাতা: মহিষাদলের পর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে রাস উৎসবের উদ্বোধনে ফের অরাজনৈতিক মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী৷ তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আয়োজনে এই উৎসবে যোগ দিন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী৷ এদিনও মঞ্চ থেকে কোনও রাজনৈতিক বার্তা দিলেন না তিনি৷ তুললেন না কোনও রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গ৷ তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা একইভাবে জিইয়ে রাখলেন এই বিদ্রোহী নেতা৷
আরও পড়ুন- স্ত্রীর ক্রেডিট কার্ডে মদ, স্বামীর নামে মামলা বধূর
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি নন্দীগ্রামের প্রতিটি উৎসবের আসি৷ ধর্মীয়, সামাজিক অনুষ্ঠান, খেলা, মেলায় আসি৷’’ তাঁর বার্তা, ‘‘আপনাদের সেবক শুভেন্দু অধিকারী আপনাদের সঙ্গে ছিল এবং থাকবে৷’’ তবে আগামী দিনে তিনি কোন পথে চলবেন খোলসা করলেন না আজও৷ বরং এদিন তাঁর মুখে উঠে আসে ধর্মের কথা৷ এই পবিত্র দিনে সকলকে শুভকামনা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে উৎসবের শুভ সূচনা করেন তিনি৷ সকল মানুষের কোভিড মুক্ত ও সুস্থ জীবন প্রার্থনা করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, আজ মানব প্রেমের কথা আলোচনা করা হবে৷ তাঁর হাতে পবিত্র ভগবত গীতা তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান৷ রাস নিয়েও দু’চার কথাও শোনান প্রাক্তন মন্ত্রী৷ তিনি বলেন, যমুনার তীরে শ্রীকৃষ্ণ, রাধিকা ও তাঁর সখীরা মিলে মহারাসের সূচনা করেছিলেন৷ এই দিন প্রভু দর্শন দিতে আসতেন তাঁর ভক্তদের৷ ভক্ত ও প্রভুর মহামিলন ঘটে রাসে৷
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল বিজ্ঞপ্তি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন নিয়ে বিভ্রান্তি পড়ুয়াদের
প্রসঙ্গত, রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে চর্চার অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি আগামী দিনে কেন পথে এগিয়ে যাবেন তা জানতে মরিয়া রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আমআদমি৷ রবিবার মহিষাদলে প্রয়াত প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী রঞ্জিত বয়ালের স্মরণ সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেন কিনা, তা জানতে অধীর অপেক্ষায় ছিল রাজনৈতিক মহল৷ কিন্তু সেদিনও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু৷ বরং বাংলা ও বাঙালির আবেগেই ভাসেন তিনি৷