‘সব কাজ আমার করে দেওয়া আছে, বিজেপি শুধু ঘেউ ঘেউ করছে’, হুঙ্কার মমতার

‘সব কাজ আমার করে দেওয়া আছে, বিজেপি শুধু ঘেউ ঘেউ করছে’, হুঙ্কার মমতার

কলকাতা: তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কলকাতায় ধর্নায় বসল তৃণমূল৷ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আরও একবার কৃষকদের পাশে থাতার বার্তা দিলেন তিনি৷ 

এদিন নিজের পুরনো দিনের কথা তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় ধর্মতলায় ২৬ দিন অনশন করেছিলাম৷ অশক্ত মঞ্চের উপর দিনের পর দিন কাটিয়েছি৷ কিন্তু আমাদের মনে জোড় ছিল কৃষি জমি জোড় করে অধিগ্রহণ করতে দেব না৷ আমাদের সংকল্প ছিল, প্রতিজ্ঞা থেকে সরব না৷ আজ একইভাবে কৃষকদের পাশে আমারা দাঁড়িয়েছে৷ তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছি৷ 

আরও পড়ুন- ১০ বছরে প্রচুর উন্নয়ন, কাজের খতিয়ান প্রকাশ করে রিপোর্ট কার্ড পেশ তৃণমূলের

তিনি বলেন, ‘‘সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলন করেছিলাম৷ আমাকে এমন ভাবে মারা হয়েছিল যে বুকে রক্তক্ষরণ হয়েছিল৷ জীবন মৃত্যু নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে৷ কলকাতার রাস্তায় ২১ দিন মানবাধিকার ধর্ণা দিয়েছিলাম৷ মানবাধিকার কমিশন আমি করেছি৷ নরসিংহ রাও আমাদের দাবি মানার পরই ধর্না উঠেছিল৷ মহিলা কমিশনও আমার করা৷’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  বাংলায় রেলের অধিকাংশ কাজ আমিই করে দিয়ে গিয়েছিলেন৷ এর মধ্যে কোন কাজটা বিজেপি করেছে? সব কাজ আমার করা আছে৷ ঘেউ ঘেউ করে শুধু ঘুরে বেড়ায়৷ আগামী দিনে এমন কেনও কাজ বাংলার জন্য করতে হবে না৷ যেটা করে ওরা বলবে বাংলাকে ভিক্ষে দিলাম৷’’ 

আরও পড়ুন- রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, গুণ্ডারাজ আর চলবে না, হুঙ্কার নাড্ডার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কৃষকদে সমর্থন করছে৷ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে৷ অসমে এনআরসিতে যখন ২০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ গিয়েছিল, সেই সময়ই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম৷ দিল্লিতে সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে আন্দোলনের সময়ও আমরা লড়াই করেছি৷ সকলেক স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, সেই আইনগুলো এখনও বাতিল করা হয়নি৷ লুকিয়ে রাখা হয়েছে৷ সুযোগ পেলেই ফের বের করা হবে৷ 

কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে চাষীদের কাছে থেকে আলু কিনে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হত৷ বাজারে দাম বাড়লে ভর্তুকি দিয়ে কম দামে সেই আলু মানুষকে দিত রাজ্য সরকার৷ বাজারে ৫০ টাকার আলু সুফল বাংলায় ২৫ টাকায় দেওয়া হত৷ উদ্বৃত্ত আলু বাইরে বিক্রি চাইলে তেলের ভাড়া বা ট্রেনের ভাড়া দেওয়া হত কৃষকদের৷ কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার গণতন্ত্র মানছে না৷ রাজ্য সরকারের সীমাবদ্ধতা মানছে না৷ সংবিধান মানছে না৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 9 =