কলকাতা: রাজনীতির আঙিনায় জল্পনার ঝড় তুলে গত বুধবার মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়কে হাসাপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর ঘণ্টাখানেক পর রাত ৯টা নাগাদ হাসাপাতালে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ৷ যদিও এই ঘটনায় বেসুরো বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়৷ নিউজ ১৮ বাংলাকে তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে যাননি বঙ্গ বিজেপি সভাপতি৷ দিলীপ ঘোষের হাসপাতালের যাওয়ার কথা তিনি জানতেনই না৷
আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে রাজ করি, তাঁর নির্দেশেই বেরিয়ে এসেছিলাম’, শোকজের জবাব আলাপনের
মুকুল রায় বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে তাঁর কোনও কথাও হয়নি, যোগাযোগও হয়নি৷ তিনি কাকে দেখতে গিয়েছিলেন, কেন গিয়েছিলেন তা আমাদের জানা নেই৷ যে কেউ হাসপাতালে যেতে পারেন৷ দেখা করতে পারেন৷ এর মধ্যে কোনও ভুল নেই৷’’ তবে অভিষেক প্রসঙ্গে সপর নরম তাঁর তিনি বলেন, ‘‘অসুস্থ থাকলে দেখতে আসে৷ এটাই স্বাভাবিক৷ আমার ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে৷ ওঁর মায়ের খোঁজ নিয়েছেন৷ ওঁরা ছোট থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছে৷ সেই হিসাবেই দেখা করতে গিয়েছিলেন৷ এর পিছনে রাজনীতির গল্প নেই৷’’
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দেখতে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করার দরকার নেই৷ উনি অনেক দিন ধরে অসুস্থ৷ তবে কোভিড হলে হাসপাতালে সব সময় যাওয়া সম্ভব নয়৷ সন্ধেবেলায় আমি খবর পাই ওঁনার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক৷ সে কারণেই দেখতে যাই৷ পরে দেখলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও গিয়েছেন৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুকুল দা’র পিএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম৷ উনি বললেন আমি বাইরে আছি৷ তাই ফোন না করে সোজা হাসপাতালে চলে যাই৷ ওঁনাকে দেখে এসেছি৷ উনি লাইফ সাপোর্টে আছেন৷’’ মুকুল রায় বেসুরো কিনা, সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান দিলীপ ঘোষ৷
অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমরা চাই মুকুল দা’র স্ত্রী কৃষ্ণদেবী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠুন৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কৃষ্ণা বৌদিকে দেখতে গিয়েছেন৷ অভিষেকের কাছে তিনি মাতৃসমান৷ এর আগে কেন বিজেপি’র কেউ দেখতে যাননি, কেন প্রধানমন্ত্রী ফোন করেননি জানা নেই৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তাঁরা সৌজন্য শিখছেন৷ তৃণমূলের সমালোচনা না করে রাজনৈতিক সৌজন্যটা শিখুক৷ বিজেপি’র কে কখন গিয়েছে বা ফোন করেছে, সে বিষয়ে তৃণমূল কোনও মন্তব্য করবে না৷’’