কলকাতা: মেট্রোর বিকল্প খুঁজে বের করা মুশকিল। আর পুজোর সময়ে এই যান কতটা কাজে লাগে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। উৎসবের দিনগুলিতে যদি মেট্রো না চলে তাহলে তো অর্ধেকের পুজো দেখাই মনে হয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তেমনটা কোনওবারেই হয় না কারণ উৎসবের দিনগুলিতে প্রায় সারা রাত চলে মেট্রো। তাতে যাত্রীদের যেমন সুবিধা, তেমনই বড় লক্ষ্মীলাভ হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষের। সেই ব্যাপারেই এবার বিস্তারিত জানা গেল।
আরও পড়ুন- ব্যথায় এগিয়ে বাংলা! দেশে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণায় কাবু রাজ্য
আজ মেট্রোর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পঞ্চমী থেকে বুধবার, বিজয়া দশমী পর্যন্ত মেট্রো রেল তাদের দুটি করিডর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনে ৩৯ লক্ষের বেশি যাত্রী বহন করেছে। এই ৬ দিন উত্তর-দক্ষিণ করিডরের বিভিন্ন স্টেশনে ৩৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৬১ জন এবং ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী ট্রেনে ওঠা নামা করেছে বলে দাবি তাদের। তাহলে টিকিট বিক্রি করে উপার্জনের অঙ্ক কত? জানা গিয়েছে, এইরূপ যাত্রী পরিষেবার ফলে টিকিট বিক্রি থেকে রেলের মোট ৬ কোটি ০৬ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা আয় হয়েছে।
আগেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশি মেট্রো চলাচল করবে। সময়ের ক্ষেত্রেও বদল ঘটেছিল। কবি সুভাষ, দমদম এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম মেট্রো শুরু হয় দুপুর ১ টায়। আর কবি সুভাষ, দমদম থেকে শেষ মেট্রো ছাড়ে ভোর ৪টে, দক্ষিণেশ্বর থেকে শেষ ট্রেন ছাড়ে ভোর ৩.৪৮। এদিকে দশমীতে মোট ১৩২টি মেট্রো চলে। দুপুর ১টা থেকে পরিষেবা শুরু হয়। শেষ ট্রেন রাত ১০ টায়।