কলকাতা: সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই৷ পর পর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একাধিক মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। তারপর আরও বেশি তোলপাড় হচ্ছে। কিন্তু ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি বিবৃতি দেওয়ার পরেও রয়েছে সংশয়।
আরও পড়ুন- সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা, রামপুরহাটের ঘটনায় সরব পার্থ
ভবানী ভবন থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, একটি বাড়িতে আগুন লাগানোর জেরে সাত জনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। অর্থাৎ তাঁর কথায় মোট ৮ জন। তবে রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে দেহ পৌঁছেছিল ৭ জনের। আবার দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সোমবার তিন জনের মৃতদেহ তাঁরা উদ্ধার করেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে একটি বাড়ি থেকেই সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাহলে তাদের কথায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঠিক এই জায়গাতেই সংশয়। তাহলে কত জনের মৃত্যু হয়েছে আদতে? প্রশ্ন থাকলেও উত্তর মিলছে না।
এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে তিনি টুইট করে বলেছেন, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা একদম ভেঙে পড়েছে। সন্ত্রাস ঘিরে আসছে রামপুরহাট এলাকা জুড়ে। অন্যদিকে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই বিষয়ে উনি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ উনি আশ্বাস্ত করে বলেছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার রিপোর্ট নেওয়া হবে৷ এবং রিপোর্ট পাওয়ার পর জয়েন্ট সেক্রেটারি পর্যায়ের অফিসাররা রামপুরহাটে আসবেন৷