কলকাতা: ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানায় হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না। এরপর এই ইস্যু নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় কলকাতা পুরসভা। তবে তাতেও লাভ হল না। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জানান হয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে পেপার বুক জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সপ্তাহ পর হবে।
আরও পড়ুন- মাঝরাতে চাঁচলের হোটেলে হৈমন্তী? লুকআউট নোটিশ জারি করল CBI
কলকাতা এবং বিধাননগর এলাকার হুক্কা বারগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, হুক্কা বারে যে রাসায়নিক ব্যবহৃত হচ্ছে, এর ধোঁয়া, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। দ্বিতীয়ত, কোনও কোনও জায়গায় যদিও তার প্রমাণ নেই, নেশার জিনিস হুক্কাতে মেশানো হচ্ছে। এর ফলে তরুণ প্রজন্ম তাতে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে এবং বারবার সেই হুক্কা বারে যেতে চাইছে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ বলে, হুক্কা বার নিয়ে রাজ্যের কোনও সুনির্দিষ্ট আইন নেই৷ ফলে হুক্কা বার বন্ধের এই সিদ্ধান্তও আইন মেনে নেওয়া হয়নি৷ হুক্কা বার বন্ধ করতে চাইলে, রাজ্য বা পুরসভাকে নতুন আইন প্রণয়ন করে তা বন্ধ করতে হবে। তার আগে পর্যন্ত হুক্কা বারগুলির বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমকে ভর্ৎসনা বিচারকের! PMLA court judge rebukes Firhad Hakim, Madan Mitra” width=”560″>
হুক্কা বার নিয়ে নেশা সংক্রান্ত যে বিষয় তোলা হয়েছিল তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, হুক্কায় অন্য দ্রব্য মেশানো হচ্ছে কি না পুলিশ তা অনুসন্ধান করতে পারে। হুক্কায় হার্বাল প্রোডাক্ট ব্যবহার হলে অসুবিধা নেই। সেই একক বেঞ্চের রায়ই আপাতত বহাল রাখা হল।