কলকাতা: ভয়ঙ্কর! পড়া না পাড়ায় খুদে পড়ুয়ার উপর নির্মম অত্যাচার চালালেন গৃহশিক্ষিকা৷ শুধু মারধর করেই খান্ত হননি তিনি৷ সাত বছরের খুদে পড়ুয়াকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেন তিনি৷ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে ওঠে সে৷
আরও পড়ুন- তৃণমূল ৩ – ০ বিজেপি! মমতা কত ভোট পেলেন
শিশুটিকে ১ থেকে ১০০ লিখতে দিয়েছিলেন তার গৃহশিক্ষিকা৷ অভিযোগ, সেটা লিখতে পারেনি সে৷ আর তাই এই ভয়ঙ্কর শাস্তি৷ যা শুনে আতকে উঠেছে শিক্ষক মহল৷ শুধু তাই নয়, এই শাস্তির বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ভয়ও দেখানো হয়ওই পড়ুয়াকে৷ কিন্তু বিষয়টি এতটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে, তা আর চাপা থাকেনি৷ ওই গৃহশিক্ষিকার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই শিশুটির পরিবার৷ এর পরেও ওই গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়৷
এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগরে৷ রুমা ঘোষ নামে এক গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে টিউশন পড়তে যেত প্রথম শ্রেণির ওই পড়ুয়া৷ ঘটনার দিন তাকে ১ থেকে ১০০ লিখতে দেন তিনি৷ কিন্তু ঠিক ভাবে তা লিখতে পারেনি সে৷ এর পরেই শুরু হয় অত্যাচার৷ প্রথমে তাকে মারধর করেন রুমাদেবী৷ স্কেল দিয়ে মারার পর শিশুটির পায়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে দেন তিনি৷ শিশুটির পায়ে ক্ষত হয়ে যায়৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজেই শিশুটির পায়ে মলম লাগিয়ে কাপড় বেঁধে দেন ৷
রাতে বাড়ি ফেরার পরেও ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল সে৷ মুখে কিছুই বলতে পারেনি৷ পরে পায়ে কাপড় বাঁধা দেখে সন্দেহ হয় তাঁর বাবা-মায়ের৷ কাপড় খুলে ক্ষত দেখে আতকে ওঠে শিশুটির মা৷ এর পরেই কাঁদতে কাঁদতে মাকে সব কথা জানায় শিশুটি৷ কোন্নগর পুলিশ ফাঁড়িতে গৃহশিক্ষিকা রুমুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শিশুটির পরিবার। ওই গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷