কলকাতা: এটাই প্রত্যাশিত ছিল সকাল থেকে। প্রথম রাউন্ড থেকে তিন কেন্দ্রে যেভাবে লিড নিতে শুরু করেছিল তৃণমূল তাতে যে দিনের শেষ বিজেপি ‘৩ গোল’ খাবে তা বোঝাই গিয়েছিল। শেষে হলও তাই। ভবানীপুর, জঙ্গিপুর এবং শমশেরগঞ্জে দাপটের সঙ্গে জিতল ঘাসফুল শিবির। ভবানীপুরে তো রেকর্ড করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তিনি জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে। এদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জেতেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। উপনির্বাচনে শোভনদেবকেও টপকে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মোট প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ২৬৩। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪২৮ টি ভোট এবং বাম প্রার্থী শ্রীজীব পেয়েছেন ৪ হাজার ২২৬ টি ভোট। মোট ৭০২টি পোস্টাল ব্যালটের মধ্যে মমতা ৫৫৪, প্রিয়ঙ্কা ১০৪ এবং শ্রীজীব ২৫টি ভোট পেয়েছেন। এদিকে, শতাংশের বিচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ৭২ শতাংশের কিছু বেশি। অন্য দিকে, প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন ২২ শতাংশের বেশি ভোট। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে ৫৭.৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ পেয়েছিলেন ৩৫.১৬ শতাংশ ভোট। সেই অনুযায়ী, তৃণমূল এখানেও রেকর্ড করেছে আর বিজেপি আরও খারাপ ফল করেছে। ওদিকে, জঙ্গিপুরে ৯২ হাজার ৬১৩ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। সামশেরগঞ্জে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। ২৬ হাজার ১১১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম।
যদিও, প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের এলাকায় তিনি ভোটে লড়াই করে ২৫ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। তাই এটা তাঁর জয়ের থেকে কম কিছু না। আবার এও জানিয়েছেন যে, শাসক দলের ভয়ে এবং আতঙ্কে সাধারণ মানুষ যে অতিষ্ট সেটাও আলাদা করে প্রমাণ করার কিছু নেই। প্রিয়াঙ্কার কথায়, তিনি ভবানীপুর ছাড়ছেন না, মানুষের হয়ে কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন। তবে এই ফলাফল প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভোটের দিনেও কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। দাবি করেছিলেন, ১২৬ নম্বর বুথে মদন মিত্র বুথ দখল করতে চাইছেন। যদিও তাঁর এইদাবি উড়িয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।