খড়গপুর: একুশের ভোটে খড়গপুর কেন্দ্রে বিজেপি’র প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় বা হিরণ৷ জোড় কদমে খড়গপুরে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন তিনি৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি প্রচার সারছেন৷ জানিয়েছেন, খড়গপুরে থেকেই তিনি লড়াই চালাবেন৷ কিন্তু বিজেপি’র তারকা প্রার্থীর অভিযোগ, খড়গপুরে থাকার কোনও বাড়ি পাচ্ছেন না তিনি৷ যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁকে কেউ বাড়ি ভাড়া দিচে চাইছেন না৷ কারণ গুণ্ডা দিয়ে তাঁধের ভয় দেখানো হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- রিগিংয়ের কুইন মমতা, আমার কাছে বড় প্রার্থী নয়! চরম আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু
গত বিধানসভায় খড়গপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ এবার এই কেন্দ্রে হিরণকে প্রার্থী করছেল দল৷ কিন্তু এখানে থেকে লড়াই চালানোর জন্য মাথার উপর ছাদের বন্দোবস্তটুকু করে উঠতে পারছেন না হিরণ৷ বাড়ি ভাড়া চাইলেই তাঁকে ফেরানো হচ্ছে৷ অথচ খড়গপুরে প্রায় রোজই তাঁকে প্রচারে বেরতে হচ্ছে৷ দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করতে হচ্ছে৷ কিন্তু এখানে থাকার ব্যবস্থা করে ওঠা সম্ভব হয়ে উঠছে না তাঁর পক্ষে৷ যাঁরা তাঁকে বাড়ি ভাড়া দিতে চাইছেন, তাঁদের গুণ্ডা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ৷
হিরণ বলেন, ‘‘মানুষকে ডিম ভাত খাইয়ে, ভাতা দিয়ে আটকে রেখে দিচ্ছে৷ তাদের গরিব থেকে আরও গরিব করা হচ্ছে৷ আমি স্থির করেছি এখানেই থাকব৷ এখান থেকেই লড়াই করব৷ এটাই আমার রাজনৈতিক ভূমি৷ কিন্তু এখানে এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা যে আমাকে একটা বাড়ি ভাড়া দিতে দেওয়া হচ্ছে না৷ যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই ওরা গুণ্ডা দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে৷’’
সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও হিরণ ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন শাসক দলের নেতাদের হুমকির জেরেই তিনি বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন না৷ যেখানে তিনি বাড়ি নিতে চাইছেন, সেখানে ফোন করে আগে থেকেই বলে দেওয়া হচ্ছে, হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়কে যেন কোনও ভাবে বাড়ি ভাড়া দেওয়া না হয়৷ জানা গিয়েছে, বাড়ি ভাড়ার জন্য স্থানীয় একজনে সঙ্গে আগেই কথা বলে রেখেছিলেন হিরণ৷ কিন্তু বাড়িতে প্রবেশের আগে বাড়ির মালিক হিরণকে ফোন করে জানান, তিনি আর বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন না৷ কারণ তাঁকে ফোন করে ভয় দেখানো হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- ভোটের আগে অতি সক্রিয় CBI, ED! একাধিক প্রশাসনিক কর্তাকে তলব, হাজিরা মদনের!
যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে তৃণমূল৷ ঘাসফুল প্রার্থী প্রদীপ সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হারের ভয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাফিয়া দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ আনতে চাইছে৷ এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি৷ তাঁর কথায়, বিজেপি অন্যায়ভাবে রেলের ভবন দখল করে পার্টি অফিস বানিয়েছে৷ ওঁদের এতগুলো রেলের বাংলো আছে৷ রেল ওঁদের৷ অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী ওঁদের৷ রেলের একটা বাড়ি কেউ দিতে পারছে না? তা যদি নাও হয়, খড়গপুরে বিজেপি’র এত কর্মী আছে৷ উনি কি কোনও কর্মীর বাড়ি গিয়ে থাকতে পারছেন না? ভোটের আগে কর্মীরা যদি ওঁনাকে থাকার জায়গা না দেয় তাহলে ভোটে কী করে জায়গা করবেন উনি?