জাতপাতের ভেদাভেদ ভুলে আব্দুল শেখের গড়ে দেওয়া মন্দিরে পূজিত হলেন মা

জাতপাতের ভেদাভেদ ভুলে আব্দুল শেখের গড়ে দেওয়া মন্দিরে পূজিত হলেন মা

পূর্বস্থলী: মৃন্ময়ী মায়ের দরবারে নেই কোনও জাতপাতের ঠাঁই৷ নেই কোনও ভেদাভেদ৷ মায়ের কাছে সকলেই এক৷ তাই তো গ্রামে মায়ের আরাধনার জন্য মন্দির গড়ে গিলেন আব্দুল শেখ৷ সম্প্রীতির নজির গড়ল পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর উত্তর শ্রীরামপুর এলাকার দাসপাড়া৷ 

আরও পড়ুন- আপাতত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, একদিনে সুস্থ ৬০১

গত ১৯ বছর ধরে এখানে দুর্গা পুজো হয়৷ কিন্তু এখানে ছিল না কোনও স্থায়ী মন্দির৷ তাই নিজের উদ্যোগে গ্রামে মন্দির গড়ে দিলেন স্থানীয় ইটভাটার মালিক আব্দুল শেখ৷ সেই মন্দিরেই মাতৃ আরাধনা করল দাসপাড়ার বাসিন্দারা৷ এই মন্দির থেকে মাত্র ৩০০ ফুট দূরেই রয়েছে একটি মসজিদ৷ পুজোর এই কটা দিন আজানের সুরের সঙ্গে মিলে মিশে এক হয়ে যায় ঢাকের বোল৷  হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি এই গ্রামে দৃষ্টান্ত৷ দুর্গা পুজো, কালী পুজো থেকে ইদ, প্রতিটি উৎসবই মিলে মিশে পালন করে এখানকার মানুষ৷  

এখানে দুর্গা পুজোর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরস্বতী ক্লাবের সদস্যরা বলেন,  মাস চারেক আগে মন্দির গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল শেখ। তাতে কয়েকজনের অবশ্য একটু দ্বিধা ছিল। তবে ওঁর ইচ্ছে ও  ভক্তিকে সম্মান জানিয়ে খুশি মনেই সেই প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়। পুজোর চার মাস আগে থেকে শুরু হয় মন্দির তৈরির কাজ৷ এর পর প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ করে এই মন্দিরটি গড়ে দেন আব্দুল শেখ। শুধু তাই নয়, এই মন্দিরে পুজো দেখতে আসেন স্থানীয় সংখ্যালঘুরাও৷ তাঁরা মনে করেন, উৎসব মানেই খুশির আমেজ৷ সেখানে ধর্মের ভেদাভেদ থাকে না৷ একই ভাবে এই গ্রামে ইদের দাওয়াতেও যোগ দেন হিন্দুরা৷ 

পুজো কমিটির সভাপতি বাণী চক্রবর্তী জানান, দাসপাড়া যেখানে শেষ হচ্ছে, ঠিক তার আগে এই দুর্গা মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে। এর পর থেকেই শুরু হচ্ছে মুসলিম পাড়া৷ এই দুর্গা মন্দিরটা যেন মিলনস্থল হয়ে উঠল৷
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 9 =