কলকাতা: প্রাথমিক টেটে ভুল প্রশ্ন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে এজলাসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দেন তিনি৷ ভুল প্রশ্ন মামলায় আদালতের নির্দেশ না মানায় তাঁকে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়৷ সেই সঙ্গে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশও দেন বিচারপতি৷
আরও পড়ুন- আইকোর চিটফান্ড মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে শিল্পভবনে CBI
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দু’ বছর আগে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি কেন? পর্ষদের সভাপতি হয়ে আপনি আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে, পরবর্তী সময় যাঁরা পদে আসবেন, তাঁরা কি নির্দেশ মানবেন? সেই সঙ্গে আদালত জানায়, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নিয়োগের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে৷ কোনও টালবাহানা বরাদাস্ত করা হবে না৷ অবিলম্বে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে৷
উল্লেখ্য, এই মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা টেটে ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন (ভুল হোক বা ঠিক) তাঁদের ১ নম্বর করে দিতে হবে এবং ওই নম্বর পাওয়ার পর কেউ চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে নিলে, তাঁকে চাকরিও দিতে হবে৷ উল্লেখ্য, প্রাথমিক টেটে ‘৬টি ভুল প্রশ্ন’ মামলায় বিষয়টি বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়৷ এর পর ২০১৮ সালে উপরোক্ত নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে ও পরে দু’বার সুপ্রিম কোর্টে যায় সংসদ। কিন্তু সর্বত্রই সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখা হয়৷ এর পরেও পর্ষদ নিজের মতো যুক্তি খাড়া করে বহু যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করে বলে অভিযোগ। ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতে প্রার্থীদের নম্বর না দেওয়ায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হয়৷
আরও পড়ুন- BREAKING: ভবানীপুরে উপনির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামালার গ্রহণযোগ্যতা কী? আদালতে প্রশ্ন কমিশনের
এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে মানিকবাবু বলেন, আইনি জটিলতা ও বোর্ডের নিয়মের বাধ্যবাধকতায় চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ আবেদনকারীদের দ্রুত চাকরি দেওয়ার জন্য বাধ্য বোর্ড৷ কোর্ট কোনও কিছু জানতে চাইতেই পারে৷ এর মধ্যে অন্য কোনও অর্থ খোঁজার মানে নেই৷ কোর্ট আমাদের বক্তব্য শুনেছে৷ আমরা কোনও ভুল করিনি৷ ২৫ জন ছেলেকে চাকরি দেওয়া হবে কিনা, সেটা বড় বিষয় নয়৷ আদালতের অর্ডারটাই বড় বিষয়৷ বিচারাধীন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করচে চাননি মানিকবাবু৷