কলকাতা: ২০১৪ সালে টেট-এর ভিত্তিতে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও একাধিক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে মামলায়৷ নিয়োগের সম্পূর্ণ তালিকা তলব করেছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ অভিযোগের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের মামলায় মোদী-শাহের মতপার্থ্যকের তুলনা টানলেন বিচারপতি
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট সহ একাধিক জায়গায় একাধিক মামলা হয়েছে৷ তবে এই প্রথম জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করা হল কলকাতা হাইকোর্টে৷ ২০১৪-র ভিত্তিতে যে সকল প্রার্থীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৫ হাজার বলে পর্যদের তরফে জানানো হয়েছে৷ এই নিয়োগের সম্পূর্ণ তালিকা চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট৷ আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা আদালতে পেশ করতে হবে৷
মূলত এই মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল, উত্তর দিনাজপুরের এক পরীক্ষার্থী ৩ দিনের জন্য চাকরি পেয়েছিলেন৷ ৩ দিন পর তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়৷ কারণ হিসাবে তাঁকে বলা হয়, তাঁর যোগ্যতা নেই৷ উপযুক্ত তথ্য ও মার্কশিটও তাঁর কাছে নেই৷ তাই আর তিনি চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন না৷ এর পরেই ওই ব্যক্তি আরটিআই করেন৷ এবং সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন, এমন বহু প্রার্থী আছেন, যাঁদের কাছে উপযুক্ত নথি নেই৷ অথচ তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে বহাল রয়েছেন৷ এর ভিত্তিতেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন৷ সেই মামলাটিই জনস্বার্থ মামলায় পর্যবসিত হয়েছে৷
আরও পড়ুন- উঠেছিল যৌন হেনস্থার অভিযোগ, মামলায় মুক্তি অধ্যাপক-কবি অংশুমান করের
প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি যখন চাকরি পেয়েছিলেন সেই সময় প্রায় ১৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল৷ সেই তালিকা ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পেশ করতে হবে৷ এর ভিত্তিতে হাইকোর্ট পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে৷ এই বিষয়ে হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রথমেই নথি না দেখে চাকরি দেওয়ার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। কিন্তু পরে নথি না পেয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানায়। এর পরেই ওই অভিযুক্ত শিক্ষক ১২ জনের নামের তালিকা আদালতের কাছে দেন। তাঁর অভিযোগ, এঁদের কারোর কাছেই প্রয়োজনীয় নথি নেই৷ তা সত্ত্বেও তারা এখনও চাকরি করছেন স্কুল শিক্ষক হিসেবে।