আদালতের ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য পুলিশ, স্কুল সংক্রান্ত এক মামলায় কড়া নির্দেশ

আদালতের ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য পুলিশ, স্কুল সংক্রান্ত এক মামলায় কড়া নির্দেশ

কলকাতা: স্কুল পরিচালন সমিতি সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল রাজ্য পুলিশকে৷ থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের আইনজীবীর অনুরোধে পুলিশকে আরও ১৫ দিন সময় দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা৷ ঠিক কী ঘটেছে?

আরও পড়ুন- দিদি-ভাইয়ের অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে, দিদির সিদ্ধান্তেই কাজ: বৈশাখী

আসলে অভব্য আচরণে অভিযুক্ত হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের নাজিবপুর হাইস্কুলের স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি লুথফার রহমান মণ্ডল৷ প্রধান শিক্ষককে অকথ্য গালাগাল দেওয়া, চেয়ার ছুঁড়ে মারা, রেজিস্টার খাতা ছুঁড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ২০১৮ সালের। এই প্রেক্ষিতেই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন বালুরঘাট থানায়। কিন্তু দাবি করা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। বরং তাঁকে আবার ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি করা হয়৷ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় এরপর। স্কুলের শিক্ষকদের অভিযোগ, সভাপতি হওয়ার পর শুধু প্রধান শিক্ষক নয়, ১৮ জন শিক্ষককে নানাভাবে হেনস্থা করেন তিনি। স্কুল ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরেই সকলে আদালতের দ্বারস্থ হন৷

বুধবার এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে৷ পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা৷ বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘স্কুলের প্রেসিডেন্ট কি আইনের ঊর্ধ্বে? এখনও গ্রেফতার করা হয়নি কেন তাঁকে?” বিচারপতির আরও হুঁশিয়ারি, ‘‘এখনই স্কুলে ঢোকা বন্ধ করে দেব ওই প্রেসিডেন্টের।” তখন রাজ্যের আইনজীবী বিচারপতিকে অনুরোধ করে বলেন, এখনই কড়া পদক্ষেপ না করতে। বরং আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া হোক তদন্তের জন্য, এমন আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বিচারপতি সেই আর্জি মেনে নির্দেশ দেন, ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দিতে হবে। পাশাপাশি মামলায় গ্রেফতারের ধারা যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 2 =