দিদি-ভাইয়ের অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে, দিদির সিদ্ধান্তেই কাজ: বৈশাখী

দিদি-ভাইয়ের অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে, দিদির সিদ্ধান্তেই কাজ: বৈশাখী

9b4f61cae77f5a4feb741376d46cddfb

কলকাতা: তবে কি শোভন-বৈশাখী জুটির তৃণমূলে ফেরা এখন  সময়ের অপেক্ষা? নবান্নে প্রায় এক ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে মিলল তেমনই ইঙ্গিতই দিলেন। শোভনের কথায়, ‘‘মমতাদির লক্ষ্য বাস্তবায়িত করাই এখন আমার কাজ।’’ তাঁরে পাশে দাঁড়িয়ে বৈশাখী বললেন, ‘‘দিদি-ভাইয়ের মধ্যে থাকা অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে।’’

 

 

 

আরও পড়ুন- আবার জেলা সফরে মমতা, তালিকায় ‘প্রথম’ জেতা আসানসোলও

 

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৈশাখী বলেন, নবান্ন কোনও উপহার দেওয়া নেওয়ার জায়গা নয়৷ নিশ্চয় রাজনৈতিক আলোচনাই হয়েছে৷ তাছাড়া শোভনের সঙ্গে দিদির দীর্ঘ দিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক৷ ভাই আর দিদির অনেক মিষ্টি মধুর আলোচনা হয়েছে৷ তবে কি তৃণমূলে ফিরছেন শোভন? এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ বৈশাখী৷ তবে তাঁর কথায়, ‘‘আমি মনে করি শোভনের এখনও রাজনীতিতে দেওয়ার অনেক কিছু আছে৷ আমি চাই ও শীঘ্রই ওঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করুক৷’’

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রাক্তন মেয়রের বিশেষ বান্ধবী৷ তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক চিরকালই ভালো৷ মধ্যিখানে অভিমানের একটা প্রাচীর তৈরি হয়েছিল৷ সেই অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে৷ আবার আগের শোভনকে দেখতে পেলাম৷ ওঁর প্রতি দিদির স্নেহ আগেও দেখেছি৷ দিদি কোনও দিনই ওঁকে মন থেকে দূরে সরাতে ন৷ ওঁরও মনের মধ্যেও দিদি৷ দিদি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই ভাবেই ও কাজ করবে৷’’ 

বৈশাখী আরও বলেন, ‘‘বিজেপি’র থেকে যখন বেরিয়ে এসেছিল, তখন অনেকেই ওঁর ‘অবিচুয়ারি’ লিখে দিয়েছিল৷ তবে শোভনের রাজনৈতিক সত্ত্বাকে এখনও দিদি পছন্দ করে৷’’ 

তিনি কি আবার ‘সক্রিয়’ রাজনীতিতে ফিরছেন? শোভনের উত্তর, ‘‘রাজনীতিতে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় বলে কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে মমতা’দির কাছে আসব। চা খাব। এতে জল্পনার কী আছে! ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা নিশ্চয়ই আমার। কিন্তু রাজনৈতিক কোনও সিদ্ধান্ত, আমার রাজনৈতিক জীবন— সবটাই মমতাকেন্দ্রিক। মমতা’দির ইচ্ছা বাস্তবায়িত করাই আমার লক্ষ্য।’’