কলকাতা: চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকার এবং এসএসসি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, উদাসীনতা ও গাফিলতির দায় সরকার এবং এসএসসি’কেই নিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের ওপর কোনও রকম দায় চাপানো যাবে না। নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ আদালতের।
আরও পড়ুন- ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি নয়ছয়ের অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে, মামলায় যুক্ত হবে CAG
২০১৬ সালে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগ পরীক্ষা হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মেধাতালিকা প্রকাশ হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। কিন্তু এরপর অভিযোগ উঠতে শুরু করে যে, মূলত স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক ভুলের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, এই কারণেই তাদের বারবার আদালতের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। এসএসসি স্বচ্ছভাবে কাজ না করায় তারা যোগ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া বেশ কিছু চাকরি প্রার্থীদের প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে বা তারা নিয়োগে বিবেচিত হওয়ার দিন থেকে উপযুক্ত বেতন কি পাবেন না?
মামলাকারী কমল কবিরাজ, সঞ্জয় মাহাতো সহ বেশ কিছু চাকরি প্রার্থীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, চাকরি প্রার্থীরা যেদিন থেকে বিবেচিত হয়েছে ,সেদিন থেকেই তারা বেতন পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তারা পাচ্ছে না এবং এর জন্য দায়ি সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের উদাসীনতা ও গাফিলতি। তিনি এও দাবি করেছেন, অন্য যে প্রার্থীরা তালিকায় ছিল তারা বেতন পাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনেকে অবিলম্বে এই বিষয়টি সমাধান করতে হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোটা বিষয় নিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে।