২৮ অক্টোবরের মধ্যে চাকরি দিতে হবে প্রিয়ঙ্কাকে, SSC-কে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

২৮ অক্টোবরের মধ্যে চাকরি দিতে হবে প্রিয়ঙ্কাকে, SSC-কে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

f7a6b285845e3af5d0fd30343a69f98a

কলকাতা: ববিতা সরকারের পথে হেঁটে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এবার এসএসসি চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা সাউকে পুজোর পরেই চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ১১ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে কাউন্সেলিং করা হবে। ২৮  অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে প্রিয়াঙ্কাকে। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন- ১০০ দিনের কাজের টাকা মিলছে না, জনস্বার্থ মামলা আদালতে

সেইসঙ্গে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, বাড়ির কাছের কোনও স্কুলেই প্রিয়াঙ্কাকে নিয়োগ দিতে হবে৷ তিনটি স্কুলের বিকল্প থেকে পছন্দমতো স্কুল বেছে নেওয়ার সুযোগও দিতে হবে তাঁকে। অভিযোগ, মেধাতালিকায় যোগ্যতা ও নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পাননি প্রিয়াঙ্কা৷ এই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, ২০১৭ মেধাতালিকা অনুযায়ী মূলত মহিলা ক্যাটাগরিতে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁর চেয়ে অন্যদের নম্বর বেশি থাকায় প্রিয়াঙ্কাকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁকে ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, প্রিয়ঙ্কার নাম ওয়েটিং লিস্টে থাকলেও, তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চেয়ে বেশি নম্বর পয়েও বঞ্চিত হয়েছিলেন ববিতা৷ অদ্ভূত ভাবে তালিকায় তার আগে উঠে আসে কম নম্বর পাওয়া অঙ্কিতার নাম৷ দুর্নীতি প্রমাণ হতেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় অঙ্কিতাকে৷ এমনকি চাকরির শুরু থেকে যে বেতন গ্রহণ করেছিলেন, তার সবটা ফেরত দিতে হয় মন্ত্রীকন্যাকে৷ অঙ্কিতার বদলে চাকরি পান ববিতা৷ চাকরিপ্রার্থী প্রিয়াঙ্কা সাউয়ের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রিয়ঙ্কার থেকে কম নম্বর পাওয়া এক ব্যক্তিকে এসএসসি চাকরির নিয়োগপত্র দেয়৷ হাই কোর্টে মামলার করলে প্রিয়ঙ্কার মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সমস্ত নথি দেখার পর তিনি বলেন, “পুজোর আগেই চাকরি দিতে হবে। এঁরা বহুদিন ধরে বসে আছেন।” কিন্তু এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাননি প্রিয়াঙ্কা৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার নিয়োগের দিন বেঁধে দিলেন বিচারিপতি৷ 

উল্লেখ্য, ববিতার মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন আরও ২০ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের সকলেরই অভিযোগ এক। তাঁদের চেয়ে কম নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছেন অন্যরা৷ সেই ২০ জনের মধ্যেই একজন প্রিয়াঙ্কা সাউ। মেধাতালিকায় বেশি নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাননি তিনি। এবার আদালতের নির্দেশে আশার আলো দেখছেন প্রিয়াঙ্কা৷